ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা
সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটা দেশ কখনোই সভ্য হতে পারে না
ধর্ষক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ও নারীটিকে ধর্ষণ করে চলে যায়। ভাবখানা এই যে, ধর্ষণ করা তার অধিকার এবং ধর্ষণ করা থেকে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না [...]

বিদ্রোহ করবেন না? লড়বেন না পরেশ ও বিষ্ণুদের জন্যে?

লালমনিরহাটের পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর পুত্র বিষ্ণু চন্দ্র শীল পেশায় নাপিত। নাপিতের দোকানে গেলে...

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সামাজিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংকট

বাংলাদেশে মব সন্ত্রাস ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনা ক্রমাগত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি...

নারীর প্রতি সহিংসতা ও আমাদের সমাজের বিকৃত চিত্র

একজন নারীকে প্রকাশ্যে লাথি মারা হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হয়। সামাজিক মাধ্যম উত্তপ্ত হয়। কিছুদিন পর...

ধর্ষণের মহামারী: শুধু আইন নয়, প্রয়োজন সমন্বিত সংস্কার
কুষ্টিয়ায় একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় চপেটাঘাতের মাধ্যমে তথাকথিত ‘বিচার’ সম্পন্ন হয়েছে—এটি আইনের প্রতি সমাজের অবহেলা ও বিচারব্যবস্থার দুর্বলতারই প্রতিচ্ছবি [...]
দূষণ বনাম পরিবেশ পুলিশের আবশ্যকতা
এনভায়রনমেন্টাল পুলিশ ইউনিট গঠন সময়ের দাবি। কারণ, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে হুমকি ক্রমাগত বাড়ছে [...]
মানুষ কার কাছে আশ্রয় চাইবে
পুলিশকে কে না ভয় করে! বিগত দিনগুলোতে রাষ্ট্রকে বলা হতো পুলিশি রাষ্ট্র। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সেই পুলিশকে বিব্রত ও হতোদ্যম মনে হচ্ছিল [...]
আজহারুল ইসলামের রায়: বিচারের মানদণ্ড নাকি ন্যায়বিচারের প্রশ্ন?
একদিকে বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা করা জরুরি, অন্যদিকে ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব [...]
অভয়নগরের ভয়, আমাদের পিছু ছাড়ছে না
বিদ্বেষের আগুনে বারবার পোড়ে মালোপাড়ার বিপাশা আর সঞ্চিতা বর্মণের কিংবা মতুয়া সম্প্রদায়ের শংকরি আর স্মৃতি বিশ্বাসের আত্মবিশ্বাস আর লালিত স্বপ্ন [...]
দ্বন্দ্বমুখর রাজনীতির সংকট ও ‘থ্রি এম’ সমাধান
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে তারা প্রস্তুত [...]
গণ-অভ্যুত্থানগুলোর পরিণতি হতাশাজনক
মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয় শেখ মুজিবকে এবং দ্বিতীয় অভিযুক্ত করা হয় লে. কমোডর মোয়াজ্জেম হোসেনকে। [...]
জনগণ আসলে কী চায়
বিগত কয়েক দিনে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার কোনো সরল ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন। [...]
স্বাধীনতার অবিনাশী ইতিহাস ও আমরা
যদিও দুই পক্ষই ইতিহাসের অংশ, তবু ইতিহাসের অমোঘ নির্দেশ হচ্ছে লড়াকু পক্ষকেই ঐতিহ্য বলে বরণ করে নেওয়া। [...]
সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটা দেশ কখনোই সভ্য হতে পারে না
ধর্ষক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ও নারীটিকে ধর্ষণ করে চলে যায়। ভাবখানা এই যে, ধর্ষণ করা তার অধিকার এবং ধর্ষণ করা থেকে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না [...]
বিদ্রোহ করবেন না? লড়বেন না পরেশ ও বিষ্ণুদের জন্যে?
পরেশকে দাঁড়িওয়ালা একজন লোক ধরে রেখেছে আর অন্যরা ওকে কিল-ঘুষি-লাথি মারছে। তাঁর পুত্র বিষ্ণু হাত জোড় করে সকলের কাছে মাফ চাইছে, মানুষের হাতে-পায়ে ধরছে [...]
মোসাদ্দেক থেকে মৌলবাদ: ইরানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
রাজনীতির গোলকধাঁধায় রঙিন স্বপ্নে বিভোর নাগরিকরা সাম্রাজ্যবাদের ফড়িয়াদের খপ্পরে আটকে যায়। ইরানের নাগরিকরাও সেই খপ্পরেই আটকে গিয়ে মাতমে মেতেছিল [...]
ধর্মীয় পরিচয়-রাজনীতির বিবর্তন / সাম্প্রদায়িকতা - মৌলবাদ - জঙ্গিবাদ - ‘আমেরিকান’ ইসলামবাদ
সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের পটভূমিতে ইসলামকে 'জিহাদ' রূপে পুনরাবিষ্কার করা হয়। মার্কিন CIA, সৌদি রাজতন্ত্র ও পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে [...]
সংস্কার নাকি অপচয়? / নতুন নোটের পেছনে ২০ হাজার কোটি টাকার গল্প
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজারে থাকা নোট তুলে নিয়ে নতুন নোট ছাড়তে প্রায় কমবেশি ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে [...]
দুই প্রধানের মনস্তাত্ত্বিক লড়াই: কে জিতল, কে হারল?
দুই পক্ষের উইন-উইন সিচুয়েশনে অবশেষে তর্জন-গর্জনের পরিসমাপ্তি হলো। ইন্টেরিম চীফ মুহাম্মদ ইউনূস বনাম সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান [...]
ইউক্রেনের কাজ শেষ, এবার ধ্বংস করবে বাংলাদেশ? / জাতিসংঘের “মানবিক করিডোর” নাকি মার্কিন সামরিক আগ্রাসন?
দীর্ঘদিন ধরে “মানবিক সহায়তা”, “গণতন্ত্র রক্ষা”, ও “নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ” – এই শব্দগুলো ব্যবহার করে একের পর এক রাষ্ট্রে সামরিক হস্তক্ষেপ [...]
এটা নারী কমিশন, নাকি ইউনুস সরকারের দীর্ঘায়িত ক্ষমতার সাইনবোর্ড?
পড়তে পড়তে যা বুঝলাম—এটা নারী অধিকার নয়, এটা পুরোদমে শেখ হাসিনাকে গালিগালাজ আর ইউনুস সরকারের গুণগান করা একপেশে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা [...]
মব সন্ত্রাস / বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সামাজিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংকট
নরসুন্দর বাবা-ছেলের ওপর ‘ধর্মীয় অবমাননার’ অভিযোগ তুলে যেভাবে মব সন্ত্রাস চালানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য মারাত্মক হুমকি [...]
নারীর প্রতি সহিংসতা ও আমাদের সমাজের বিকৃত চিত্র
অফলাইনে যদি নারীদের প্রতি সহিংসতার চিত্র ভয়াবহ হয়, অনলাইন তার চেয়েও ভয়ংকর। কোনো নারী যদি রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে সোচ্চার হন, তাহলে তাকে "শায়েস্তা" করার জন্য সাইবার গ্যাং অপেক্ষায় থাকে [...]
৭২-এর সংবিধান বাতিলের ষড়যন্ত্র: মুখোশ খুলে ফেলো!
এনসিপি হলো একটি 'কিংস পার্টি' - শাসকগোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সুবিধাবাদী একটি রাজনৈতিক প্রকল্প, যার লক্ষ্য হলো রাজনীতির নামে বিভ্রান্তি তৈরি [...]
মূল্যস্ফীতি ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব
বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। [...]
আইএমএফের পরামর্শ / ডলারের দাম বাজারীকরণের বিপদ
এগ্রিগ্রেটর ও ম্যানিপুলেটরদের তাণ্ডবে হু-হু করে ডলারের দাম বেড়ে ১৭০-১৮০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। [...]
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি ইজারাদারি: আয় প্রবৃদ্ধির বাস্তবতা বনাম হুমকি
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালটি (এনসিটি) দুবাইভিত্তিক টার্মিনাল অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ডকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া নিয়ে চলমান বিতর্ক ঘিরে সঠিক সিদ্ধান্তটি কি হওয়া উচিত তা নিশ্চিত করতে অনেকগুলো প্রাসঙ্গিক ও আবশ্যক বিষয় বিবেচনা করতে হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান এই ডিপি ওয়ার্ল্ডের তথ্য অনুযায়ী, তারা পৃথিবীর ৪০টি দেশে বন্দর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের পরিচালনার আওতায় বিশ্বের ১০ শতাংশ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। তবু রাষ্ট্রীয় পরিপ্রেক্ষিত ও ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় রাষ্ট্র ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কতখানি কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, কতখানি লাভবান হবে এবং নিরাপত্তা প্রসঙ্গ সামাল দিতে পারবে তা গভীর আলোচনা ও উপলব্ধির দাবি রাখে। বিগত সরকারের আমলে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বন্দর পরিচালনার মতো সংবেদনশীল দায়িত্ব দেওয়ার এখতিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আছে কিনা এটা বোদ্ধা ও অংশীজনদের প্রশ্ন। অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ারের আলাপ ছাড়াও এ নিয়ে আরও অনেক প্রসঙ্গ এবং দৃষ্টিকোণ গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার দাবি রাখে। চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি টার্মিনালের অধীনে ১৯ টি জেটি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি)-এর অধীনে ১২ টি জেটি, চট্টগ্রাম কার্গো টার্মিনাল (সিসিটি)-এর অধীনে ২ টি জেটি, নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)-এর অধীনে ৫ টি জেটি। এই ১৯ টির মধ্যে ৬ টিতে বাল্ক জাহাজের জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং হয় আর বাদবাকি ১৩ টি জেটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়। এর বাইরে বিশেষায়িত আরো কতগুলো জেটি আছে যা বিশেষ বিশেষ ধরনের পণ্য খালাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের আয় থেকেই যাবতীয় ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহ করা হয়। লাভজনক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরের ২০২৩ সালে রাজস্ব আয় ছিল ৪ হাজার ১৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। এক বছরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ৮৯০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে রাজস্ব উদ্বৃত্ত ছিল ২ হাজার ১৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের রাজস্ব উদ্বৃত্ত ২ হাজার ৯৪৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের তুলনায় পরের বছর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৭.৪২ শতাংশ ও বাল্ক কার্গোতে ৩.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বন্দর ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের জোরালো সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের বাইরে এসে গতিশীলতা পায় ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সুবাদে। ওই সরকারটি নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে, তবে এই কাজটির জন্য প্রশংসা তাদের প্রাপ্য। তখন বন্দরে সিন্ডিকেটের প্রভাব ভেঙে ভুয়া শ্রমিকের ব্যয় চার কোটি থেকে দেড় কোটিতে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বার্থ অপারেটর সিস্টেম প্রবর্তন করে বন্দরে প্রতিযোগিতামূলক সেবাক্ষেত্র তৈরি ও গতিশীলতা আনয়ন করে তৎকালীন এলাকাভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা ইউনিট। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ টি বার্থ অপারেটর চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থগুলো পরিচালনা করছে, ৩২ টি বার্থ অপারেটর বহির্নোঙরে বড়ো জাহাজ থেকে ছোটো জাহাজে লাইটারেজ করে মালামাল খালাসের কাজ করছে। এখানে উল্লেখযোগ্য, যাদের উদ্যোগে বন্দর ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন ঘটে তারা কেউই বন্দর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনা বা জ্ঞান রাখতেন না। তথাপি সদিচ্ছা ও আন্তরিক উদ্যোগে গৃহীত পদক্ষেপের সুবাদে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত জাহাজগুলোর টার্ন এরাউন্ড টাইম তখন ১৪ দিন থেকে ২.৩ দিনে নেমে এসেছিল। জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভরশীলতার কারণে বাধ্যতামূলক আইডল টাইম বাদ দিলে যা প্রকৃতপক্ষে আরো কম। এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এনসিটির। পূর্ব-উদ্যোগ সূত্রে ২০০৭ সালেই চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ৮,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালটি (এনসিটি) চালু হয়। এর একপাশে সিসিটি এবং অন্যপাশে গুরুত্বপূর্ণ নেভাল বেইজ, মাঝখানে ১০০০ মিটারের এই টার্মিনালে ৫ টি জেটিতে ১০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরের মোট কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৪৪ শতাংশ, ১৩ লাখ কন্টেইনার, হ্যান্ডলিং করে টার্মিনালটি ১৭ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে বন্দরের সবচেয়ে অর্থকরী অংশ হিসেবে কাজ করছে। টার্মিনালটি বর্তমানে বছরে ১,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে। ২০০৭ সালে দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন না হলেও কৌশলগত সক্ষমতা বিবেচনায় সাইফ পাওয়ার টেক নামের দেশি একটি প্রতিষ্ঠানটিকে এনসিটি এবং সিসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কাজে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে অংশীদার হিসাবে চট্টগ্রামের সেই সময়কার সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন এম এইচ চৌধুরী লিমিটেড ও নোয়াখালী সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্সের সম্পৃক্ততা নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়েছিল। বর্তমানে চবকের সবচেয়ে লাভজনক এই টার্মিনালটি ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ অংশীজনদের বৃত্ত ছাড়িয়ে আপামর জনসাধারণের মনে বহুবিধ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে উল্লেখিত তিনটি টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) এর অর্থায়নে ১২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০২২ সালের জুনে টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও বিবিধ অনুমতি এবং অবকাঠামোগত ও কাস্টমস সেবা সংযুক্তির জন্য সময় ব্যয়সহ নানা কারণে ২০২৩ সালের নভেম্বরে, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দেড় বছর পর, টার্মিনালটির কার্যক্রম শুরু হয়। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য চবকের সঙ্গে চুক্তি হয় সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল (আরএসজিটিআই) নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ৯ জুন ২০২৪ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ২২ বছর পিসিটি পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। পিসিটিই চট্টগ্রাম বন্দরের প্রথম কোনো টার্মিনাল যেটা বিদেশি অপারেটরকে পরিচালনা করতে দেওয়া হয়েছে। এনসিটিতে বন্দর স্থাপনা ও সকল অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি চবক নিজস্ব অর্থায়নে করলেও ৫৮৪ মিটার লম্বা, তিনটি কন্টেইনার জেটি এবং একটি ডলফিন জেটি সম্পন্ন, পিসিটিতে বন্দর নির্মাণ বাদে সকল অবকাঠামোগত উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আরএসজিটির। ইতিমধ্যে ক্রয়কৃত যন্ত্রপাতির সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতে অর্ডারকৃত চারটি এসটিএস (শিপ-টু-শোর) ক্রেন যুক্ত হলে ২০২৬ সালের প্রথম কোয়ার্টার থেকে পিসিটিতে ছয় লক্ষ কন্টেইনার (টিইইউস) হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। এই পতেঙ্গা টার্মিনালটির সাড়ে চার লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা থাকলেও অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার প্রতিকূলতা কাটিয়ে এখনো তা পরিপূর্ণ সচল হতে পারেনি। এই অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে পিসিটির কার্যক্রম দ্রুত সামর্থ্যের সীমানায় নিতে পারলে চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে ক্রিয়াশীল নেতিবাচক শক্তিগুলোকে নিষ্ক্রিয় করার পাশাপাশি তা গোটা বন্দরের অগ্রসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে সত্যিকারের ভূমিকা রাখার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রটি হতে পারতো এটাই। কেননা পিসিটির যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত ও দূরীকরণের কাজগুলো না করে নতুন কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে আরো টার্মিনাল ইজারা দিলে পারফরম্যান্স সক্ষমতার সীমানা ছাপিয়ে যাওয়ার বদলে নিচে নেমে আসার সম্ভাবনাই জোরালো। আর যদি কর্তৃপক্ষ বলতে চায় যে, অমনটা হবে না; তাহলে পিসিটির কার্যক্রম পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়ন করে তাদের আগে প্রমাণ করতে হবে যে তারা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বন্দরকে সিন্ডিকেটের প্রভাবমুক্ত করে গতিশীল করতে পারঙ্গম। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য, সীমিত আকারে চালু হওয়া এই টার্মিনালের সেবাগ্রহীতা অংশীজনরা নতুন এই টার্মিনালটির কর্মপদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। পিসিটিতে একদিকে যেমন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা কমেছে টার্মিনাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে, পাশাপাশি মাথাব্যথা কমছে সেবাগ্রহীতাদেরও। বন্দরের অন্য সব টার্মিনালের মতো আমদানি রপ্তানি কাজ সম্পন্ন করার জন্য টেবিলে টেবিলে ছুটতে হচ্ছে না শিপিং এজেন্ট এবং ক্লিয়ারিং এজেন্টদের, ফলশ্রুতিতে তাদের মানবসম্পদ ব্যয় ও পরিচালন ব্যয় কমে আসছে। অংশীজনদের এই সুফল পাওয়ার পাশাপাশি চবকের নেট আয় যদি বন্দরের অন্যান্য টার্মিনালের সমানুপাতে থাকে তাহলে টার্ন এরাউন্ড টাইম এবং নির্ঝঞ্ঝাট কর্মপদ্ধতি ইতিবাচক প্রমাণিত হলে বেদেশি অপারেটর নিয়োগের পক্ষে যুক্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্ত সেই যুক্তি প্রতিষ্ঠিত হবার আগে বন্দরের সবচেয়ে লাভজনক স্বয়ংসম্পূর্ণ ও সফল এনসিটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ মোটেই যৌক্তিক ও বিজ্ঞতাপূর্ণ নয়। এনসিটি আর পিসিটিই কিন্তু শেষ কথা নয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনের অন্তত ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। মার্কস গ্রুপ লালদিয়া চর এলাকায় নির্মাণ করছে এসটি কন্টেইনার টার্মিনাল। টার্মিনালটি নির্মিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত পিপিপি নীতিমালা অনুসরণ করে। মাতারবাড়ি ডিপ সি পোর্ট নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজার জেলার মহেশখালিতে। জাইকার অর্থায়নে এর নির্মাণ কাজ করছে জাপানি জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান পেন্টা-ওশান কনস্ট্রাকশন কো. লিমিটেড এবং টোয়া করপোরেশন। আশা করা হচ্ছে আগামী তিন থেকে চার বছরের কধ্যে এটার কার্যক্রম শুরু হলে ১৬ মিটার ড্রাফটের জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে শুরু করবে। এই প্রকল্পগুলোরও আগে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বে টার্মিনাল প্রোজেক্টের। ২০১৪ সালে উদ্যোগ গ্রহণ করে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্প উদ্বোধন হলেও ভূমি ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবিধ সংকট ও পুনঃ পুনঃ প্রকল্প পরিকল্পনায় পরিবর্তন হেতু এর অগ্রগতি ধীর। ২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী আরো চার থেকে পাঁচ বছর লাগবে এর টার্মিনালগুলো চালু হতে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে তিনটি কন্টেইনার টার্মিনালে ১৩ টি জেটি নিয়ে এই প্রকল্প চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। ২০২৪ সালে এই বে টার্মিনাল প্রকল্পেই বিনিয়োগ হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার। এরকম প্রকল্পগুলোতে বিওটি (বিল্ড অপারেট এন্ড ট্রান্সফার) পদ্ধতিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার যৌক্তিকতা আছে। তাতে দেশের অর্থব্যয় ছাড়াই অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু চবকের অর্থায়নে সবচেয়ে সফল ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ভালো পারফর্ম করা এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ হাজার কর্মীর জীবিকা অনিশ্চিত করার পাশাপাশি হাজারো প্রশ্নের উদ্রেক করে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন যদি উড়িয়েও দিই, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিয়ে এনসিটি থেকে বর্তমানের চেয়ে চবকের কি পরিমাণ আয় প্রবৃদ্ধি ঘটবে তার সুস্পষ্ট উল্লেখ ও নিশ্চয়তা ছাড়া এমন উদ্যোগ গ্রহণের কোনো যুক্তি নেই। এর চেয়ে বন্দর পরিচালনায় লুক্কায়িত অসংখ্য প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অধিকতর প্রয়োজন। প্রয়োজন চবকের সর্বমোট কার্গোর ৭০ ভাগ কার্গোর যোগান দেওয়া ঢাকা অঞ্চল ঘিরে আইসিডি ও আইসিটিগুলো কার্যকর ভাবে সচল করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পরিধি বাড়ানো। বন্দরের কন্টেইনার অকুপেন্সি থ্রেট সামাল দেওয়ার নতুন ও কার্যকরী পথ ও পন্থা উদ্ভাবন এবং প্রয়োগে সচেষ্ট হওয়া। প্রয়োজন নতুন টার্মিনাল পিসিটিতে যে কর্মপদ্ধতি চালু হয়েছে সেই একই পদ্ধতি বন্দরের সর্বত্র চালু করে বন্দরের কার্যক্রমকে অংশীজনদের জন্য সাশ্রয়ী, গতিশীল ও নির্ঝঞ্ঝাট করার দ্রুত ও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া। সেইসঙ্গে সমধিক গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের বাড়তি সক্ষমতা কাজে লাগাবার মতো শিল্পখাত প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও বজায় রাখার যাবতীয় উদ্যোগ-আয়োজনে জোর ক্রিয়াশীল হওয়া। অন্যথায় এনসিটি লিজ দেওয়ার মতো উদ্যোগকে সুচিন্তিত ও গ্রহণযোগ্য মনে করার বদলে উদ্যেশ্যপ্রণোদিত ও স্বার্থকেন্দ্রিক বলেই বিবেচনা করবে সবাই। প্রথম প্রকাশ: বিডিনিউজ২৪.কম, ২৬ মে, ২০২৫
‘ইন্টেরিম সরকার, গণহত্যার পাহারাদার’
‘ইন্টেরিম সরকার’ নামে পরিচিত বর্তমান শাসকগোষ্ঠী, যারা একাত্তরের ঘাতকদের উত্তরসূরি, তারা আজও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর [...]
বন্দর ও বিনিয়োগ নিয়ে অভাবনীয় ম্যাজিক!!!
ইতিমধ্যে অনেকগুলো ম্যাজিক আমরা দেখেও ফেলেছি। কিন্তু, আজ ১৪ মে আসছে আরও এক নতুন ম্যাজিক [...]
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বনাম প্রেস সচিব: বিশ্বাসযোগ্যতা সংকটে সরকার
মিয়ানমারের সাথে মানবিক করিডোর ইস্যুতে তাদের এই দ্বিমুখী অবস্থান সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / এ কে এম সিদ্দিক বিশ্বাস
আইনজীবী এ কে এম সিদ্দিক বিশ্বাসকে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর আলবদররা। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / কোরবান আলী
স্বাধীনতার পক্ষে সক্রিয় থাকায় স্থানীয় পাকিস্তানপন্থীরা কোরবান আলীর ওপর নাখোশ ছিল। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / শান্তিময় খাস্তগীর
কলেজের ছাত্রাবাসে আশ্রয় দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। এ কারণে রাজাকাররা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / এ কে এম মনিরুজ্জামান
সরাসরি রাজনীতি না করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সহকর্মীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতেন। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / সুধীর চন্দ্র মজুমদার
হায়েনার দল টানা তিন মাস তাঁকে নির্যাতন করে ১ সেপ্টেম্বর গুলি করে হত্যা করে। লাশ ভাসিয়ে দেয় মগড়া নদীতে। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / মহসিন আলী
প্রগতিশীল ও মুক্তিকামী শিল্পী-কলাকুশলীদের সঙ্গে শহীদ মহসিন আলীর সখ্য ছিল। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / আবুল বাশার মহিউদ্দিন আহম্মদ
শহীদ এ বি মহিউদ্দিন আহম্মদের জন্ম ১৯২৮ সালে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পানান গ্রামে। [...]
শহীদ বুদ্ধিজীবী / ফাদার লুকাশ মারান্ডি
ফাদার লুকাশ মারান্ডি জীবনের পুরোটা সময় মানুষের সেবা ও ধর্মীয় শিক্ষাদান করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত চাল উৎপাদন
বিশ্বের ৯০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। কিন্তু অঞ্চলটি খরাপ্রবণ। [...]
যেসব অঞ্চলে আগামী ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। [...]
ঢাকায় আজও বইছে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস
আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়। [...]
রং হারিয়ে ঝুঁকিতে বিশ্বের অধিকাংশ প্রবালপ্রাচীর
এটাকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রবাল ব্লিচিংয়ের ঘটনা বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি। [...]
বিশ্ব পানি দিবস, কেন পালন হয় জানেন তো?
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় ৭৭ কোটির বেশি মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। [...]
রামুতে ২০ দিনে সাগরে ছাড়া হলো দেড় হাজার কাছিম ছানা
কক্সবাজারের রামুর প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতের বেলাভূমি দিয়ে ২০ দিনে দেড় হাজার কাছিমের ছানা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। [....]
জসীম উদ্‌দীন ও বাংলা-বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ
জসীম উদ্‌দীন (১৯০৩-১৯৭৬) বাংলা ও বাঙালির কথা আপন ভাষায় কাব্য রচনা করে বিখ্যাত হয়ে আছেন। [...]
হাসান হাফিজুর রহমানের হাতে স্বাধীনতার দলিল
হাসান হাফিজুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দলিল তেমন এক পরম্পরা।
বাংলাদেশ বাহিনীর ইতিহাস
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাঁচটি বাঙালি রেজিমেন্ট ছিল। [...]
ন্যানো-বালাইনাশক: ফসল ও পরিবেশ সুরক্ষায় নব-বিপ্লব
বর্তমানে বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ এবং পরিবেশ দূষণ বালাইনাশক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় [...]
কেমন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দের সম্পর্ক
বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল। আপাতত উভয়ের মধ্যে প্রত্যক্ষ-সম্পর্ক অনুসন্ধানীদের এইটুকুতেই সন্তুষ্ট [...]
গণঅভ্যুত্থান / স্বর্গের ঝটিকা বাহিনী, নাকি ক্ষণিক বিদ্যুৎ চমক
শেখ হাসিনার শূন্যস্থান দখল করেছেন যারা, তাদের আপাতদৃষ্টিতে কোনো স্থির রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আছে ইউটোপীয় সংস্কারের বিশাল বিশাল পেপার ওয়ার্কস [...]
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধামুসা গণহত্যা (কালকিনি, মাদারীপুর)

৩০ জুন ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপট

সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একটা দেশ কখনোই সভ্য হতে পারে না

২৯ জুন ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ

২৮ জুন ১৯৭১: ইয়াহিয়ার সামরিক ছত্রচ্ছায়ায় সরকার গঠনের প্রস্তাব ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি

২৬ জুন ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা

বিদ্রোহ করবেন না? লড়বেন না পরেশ ও বিষ্ণুদের জন্যে?

মব সন্ত্রাস / বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও সামাজিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সংকট

নারীর সুন্দর পোশাকে মাদক খোঁজা—উপদেষ্টার ‘সমাজবিজ্ঞান’

নারীর প্রতি সহিংসতা ও আমাদের সমাজের বিকৃত চিত্র

১০

সৈয়দপুরে পাঁচ মাড়োয়ারী নারীর জহরব্রত – সতীত্ব রক্ষার মর্মান্তিক আত্মবলিদান

১১

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর পাড়ে নির্মম গণহত্যা

১২

২৫ জুন ১৯৭১: গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি

১৩

মোসাদ্দেক থেকে মৌলবাদ: ইরানের ইতিহাস ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

১৪

বসুনিয়াপাড়া-বাড়াইপাড়া গণহত্যা: কিশোরগঞ্জের এক কলঙ্কিত অধ্যায়

১৫

২৪ জুন ১৯৭১: মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি

১৬

ধর্মীয় পরিচয়-রাজনীতির বিবর্তন / সাম্প্রদায়িকতা - মৌলবাদ - জঙ্গিবাদ - ‘আমেরিকান’ ইসলামবাদ

১৭

৭২-এর সংবিধান বাতিলের ষড়যন্ত্র: মুখোশ খুলে ফেলো!

১৮

২৩ জুন ১৯৭১: পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ

১৯

২২ জুন ১৯৭১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি

২০
লেখক সার্চ
অনুসন্ধান