স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা ধামুসা গ্রামে ব্যাপক আক্রমণ চালায়।
পুরো গ্রামজুড়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়—কোনো নির্দিষ্ট বধ্যভূমি নয়, বরং গ্রামটিকেই তারা রক্তাক্ত করে তোলে।
একটি পরিবারের ভাবি (বৌ) ও ননদকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। তাদের ধর্ষণের পর বেয়নেট দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর ডাসার সৈয়দ আতাহার আলী ডি কে আইডিয়াল কলেজের সামনের খালে তাদের লাশ ভাসতে দেখা যায়।
গৌরনদীর বাকাই-কুমারবাড়ি দিয়ে ধামুসায় প্রবেশের পথে মোতাহার মাতুব্বর (ডাসার গ্রাম) ও রফি বয়াতি (পশ্চিম খান্দলি গ্রাম) নামে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ধামুসা গ্রামের পাশাপাশি ডাসার ও পশ্চিম খান্দলির বাসিন্দারা এ গণহত্যার শিকার হন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন:
ধামুসা গণহত্যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক করুণ অধ্যায়। স্থানীয়রা আজও এই বর্বরতার স্মৃতি ধরে রেখেছেন। নিহতদের স্মরণে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মারক না থাকলেও, তাদের আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় অমলিন।
সূত্র:
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ (৫ম খণ্ড)
স্থানীয় সাক্ষাৎকার ও মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র
মন্তব্য করুন