ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
মুজিবনগরে পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠকে বাঁ থেকে ডানে—মোজাফ্ফর আহমদ, মনোরঞ্জন ধর, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, মণি সিংহ, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আবদুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ ও আবদুস সামাদ আজাদ। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকার (ভারত) সৌজন্যে

১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে চিহ্নিত। এই দিনে মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে একটি পাঁচদলীয় উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়, যা মুক্তিসংগ্রামে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করবে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেওয়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, বিশ্ব শান্তি পরিষদের উদ্যোগ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা অভিযানের মতো ঘটনাগুলো এই দিনকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। এই প্রতিবেদনে সেই সকল ঘটনাকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যাতে যুদ্ধের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক দিকগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

পাঁচদলীয় উপদেষ্টা কমিটির গঠন

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপনের জন্য এই দিনে মুজিবনগরে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আটজন সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ সরকারকে মুক্তিসংগ্রামে পরামর্শ প্রদান করা এবং পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইরত সকল পক্ষের মধ্যে একাত্মতা গড়ে তোলা। কমিটিটি গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে, যাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভাসানী ন্যাপ, ওয়ালিপন্থী ন্যাপ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মস্কোপন্থী), বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেস এবং আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা।

কমিটির গঠন প্রক্রিয়া দুই দিনব্যাপী যৌথ বৈঠকের ফলস্বরূপ ঘটে, যেখানে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন, এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা আবদুস সামাদ আজাদও অংশগ্রহণ করেন। কমিটির সদস্যদের মধ্যে ছিলেন:

  • - ভাসানী ন্যাপের মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী,
  • - কমিউনিস্ট পার্টির মণি সিংহ,
  • - বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেসের মনোরঞ্জন ধর,
  • - ওয়ালি ন্যাপের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ,
  • - প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ,
  • - পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ,
  • - এবং আওয়ামী লীগ থেকে আরও দুজন সদস্য।

এই কমিটির গঠন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে আরও সংগঠিত করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করে যুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।

সাত দফা প্রস্তাব গ্রহণ

যৌথ বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে একটি সাত দফা প্রস্তাবও গৃহীত হয়। এই প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে, পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া কোনো রাজনৈতিক সমাধান অসম্ভব। প্রস্তাবের মূল বিন্দুগুলো ছিল:

  • - বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় গণতান্ত্রিক জনসাধারণের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশকে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
  • - অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সক্রিয় সাহায্য প্রদানের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়।
  • - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জবরদস্তিমূলক বিচার বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘ এবং বৃহৎ শক্তিগুলোর কাছে অনুরোধ জানানো হয়।
  • - পশ্চিম পাকিস্তানি জঙ্গিশাহির দ্বারা বাংলাদেশের জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বেআইনিভাবে আটক রাখার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
  • - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও শরণার্থীদের প্রতি ভারত সরকার এবং ভারতের অধিবাসীদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

এই প্রস্তাবগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল, যা যুদ্ধের রাজনৈতিক দিককে শক্তিশালী করেছে।

আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ঘটনাবলী

পাকিস্তানকে সোভিয়েত ইউনিয়নের হুঁশিয়ারি: এই দিনে দিল্লিতে একটি কূটনৈতিক সূত্র মস্কো ও ইসলামাবাদ থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের জানায় যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন পাকিস্তানকে আবারও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যাতে তারা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার মতো অতি দুঃসাহসী পদক্ষেপ না নেয়। এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ব্যক্তিগত দূত সুলতান মহম্মদ খানের মস্কো সফরকালে। সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো এবং তাঁর সহকারী ফিরুবিনের সঙ্গে আলোচনায় সুলতান মহম্মদ খান পাকিস্তানের সংহতি ও অখণ্ডতার ব্যাপারে ভারতের যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্র, এবং পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য তথাকথিত ব্যবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে মস্কোর কূটনৈতিক মহল জানায় যে, পাকিস্তানের এই ব্যাখ্যা সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের মনে কোনো দাগ কাটতে পারেনি। এই ঘটনা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভারতপন্থী অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে।

অপারেশন ওমেগার সদস্যদের অবস্থা: অপারেশন ওমেগার প্রধান সংগঠক রজার মোদি কলকাতায় সাংবাদিকদের জানান যে, তাঁদের চারজন সদস্য বাংলাদেশে যাওয়ার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়ে যশোর জেলে বন্দী। এই সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন। তাঁদের দু-এক দিনের মধ্যে আদালতে হাজির করা হবে। কলকাতার যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট ঢাকা অফিসের মাধ্যমে জেনেছে যে, তারা আইনি সাহায্য নিতে অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর বাংলাদেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার একটি উদাহরণ।

ভারতীয় জনসংঘের সভাপতির বক্তব্য: ভারতীয় জনসংঘের সভাপতি অটল বিহারি বাজপেয়ি দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন যে, তাঁরা চান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা। যতক্ষণ না তা হয়, ততক্ষণ শরণার্থীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের কথা বলা অর্থহীন। ভারত যদি মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করে, তবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভ সহজতর হবে। এই সাহায্যের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি প্রদান। এই বক্তব্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমর্থনের চিত্র তুলে ধরে।

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলন: সুইডেন সফররত যুক্তরাজ্য ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের দূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এই দিন বিকেলে রাজধানী স্টকহোমে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচারণার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব শান্তি পরিষদের স্মারকলিপি: বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতিসংঘ মহাসচিব উ থান্টকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে অভিমত প্রকাশ করে যে, শুধু বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে। নিজেদের ভবিষ্যৎ স্থির করার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে। বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন গিনির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইরাকের একজন প্রতিমন্ত্রী, ফ্রান্সের একজন সিনেটর এবং হাঙ্গেরির একজন আর্চবিশপ। এই উদ্যোগ জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির একটি প্রচেষ্টা।

গেরিলা অভিযান এবং যুদ্ধের ঘটনা

এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সেক্টরে গেরিলা অভিযান চলতে থাকে, যা পাকিস্তানি বাহিনীকে চাপের মুখে ফেলে।

- ২ নম্বর সেক্টর: মুক্তিযোদ্ধারা মন্দভাগে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। পাকিস্তানিরা মুক্তিবাহিনীর অবস্থানে আক্রমণ চালালে তা প্রতিহত করা হয়। পরে পাকিস্তানি সেনারা মইনপুর অবস্থানে আক্রমণ চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টার যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়, এবং মুক্তিবাহিনীর নয়জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।

- ৩ নম্বর সেক্টর: তেলিয়াপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়।

- সুনামগঞ্জ সদর থানার ভাদেরটেক: পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দলের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

- ৮ নম্বর সেক্টর: একদল মুক্তিযোদ্ধা ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার আলফাপুর গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দলকে আক্রমণ করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর কয়েকজন সেনা ও রাজাকার হতাহত হয়, এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।

এই অভিযানগুলো মুক্তিযুদ্ধের সামরিক গতি বজায় রাখার প্রমাণ বহন করে, যা পাকিস্তানি বাহিনীকে দুর্বল করে তুলছিল।

৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১-এর ঘটনাবলী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের রাজনৈতিক ঐক্য, আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং সামরিক প্রতিরোধের একটি সমন্বিত চিত্র উপস্থাপন করে। এই দিনের উদ্যোগগুলো যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পথ প্রশস্ত করেছে।

সূত্র:

- বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর দুই, তিন, চার ও আট।

- স্বাধীনতাসংগ্রামে প্রবাসী বাঙালি, আবদুল মতিন, র‌্যাডিক্যাল এশিয়া পাবলিকেশনস, লন্ডন।

- পূর্বদেশ, ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।

- আনন্দবাজার পত্রিকা ও যুগান্তর, কলকাতা, ভারত, ১০, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: শেখ মুজিবুর রহমানই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতীক

১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন

কৃষ্ণপুর-ধনঞ্জয় গণহত্যা (কুমিল্লা আদর্শ সদর)

১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ভুটানের রাজার শরণার্থীশিবির পরিদর্শন, অপ্রত্যাশিত সমর্থন

শোভনা গণহত্যা (খুলনা)

উদয়পুর গণহত্যা (মোল্লাহাট, বাগেরহাট)

১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহস এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ

৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন

ঘোড়াইল গণহত্যা (কেন্দুয়া, নেত্রকোনা)

৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আন্তর্জাতিক চাপ এবং গেরিলা অভিযানের দিন

১০

কাঁঠালতলা গণহত্যা (ফকিরহাট, বাগেরহাট)

১১

সাভিয়ানগর গণহত্যা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এক নৃশংস অধ্যায়

১২

গোয়ালগ্রাম বধ্যভূমি: মুক্তিযুদ্ধের এক ভয়াবহ গণহত্যা (দৌলতপুর, কুষ্টিয়া)

১৩

গুরই গণহত্যা: একটি ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি (নিকলী, কিশোরগঞ্জ)

১৪

৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: কলকাতা মিশন হলো বাংলাদেশ হাইকমিশন

১৫

৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ইকরদিয়া গণহত্যা – এক নির্মম অধ্যায়

১৬

৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান, বিভিন্ন সেক্টরে আক্রমণ

১৭

২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি

১৮

রাণীগঞ্জ বাজার গণহত্যা | জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ

১৯

ধোবাজোড়া গণহত্যা | মিটামইন, কিশোরগঞ্জ

২০