ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
ছবি: আনন্দবাজার

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, যা মুক্তিযুদ্ধ নামে পরিচিত, একটি দীর্ঘ এবং কঠিন যাত্রা ছিল। এই যুদ্ধে বিজয় অর্জনের পেছনে দেশী-বিদেশী অসংখ্য মানুষের একক এবং যৌথ প্রচেষ্টা, অজস্র ঘটনা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত জড়িত ছিল। ১৯৭১ সালের প্রতিটি দিন এই সংগ্রামের একটি অধ্যায়, যা রাজনৈতিক, সামরিক এবং সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনে আমরা ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১-এর ঘটনাগুলোকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। এই দিনে রাজনৈতিক আলোচনা, আন্তর্জাতিক কূটনীতি, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিক অভিযান এবং বিভিন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে সংগ্রামের গতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

ইন্দিরা গান্ধীর সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর: আন্তর্জাতিক কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন। এই দিনে, দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে ঘোষণা করেন যে, ইন্দিরা গান্ধী ২৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করবেন। এই সফরের সময় তিনি সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগোর্নি এবং কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেজনেভের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। মুখপাত্র আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি, কিন্তু দিল্লির কূটনৈতিক এবং সামরিক মহল থেকে জানা যায় যে, এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করা।

এই সময়ে, এ মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল, যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং পাকিস্তানের অত্যাচারের বিষয়টি প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। একইসাথে, বাংলাদেশে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। এই হুমকির প্রেক্ষিতে, ইন্দিরা গান্ধী সোভিয়েত নেতাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে এই বিপদের মোকাবিলায় কৌশলগত সমর্থন চাইবেন। এই সফরটি মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক মাত্রায় একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে, কারণ সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন ভারতকে পাকিস্তানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে সাহায্য করে।

ড. এ আর মল্লিকের সংবাদ সম্মেলন: ছয় দফা এবং আপসের অসম্ভবতা

বাংলাদেশের শিক্ষা এবং রাজনৈতিক মহলে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন ড. এ আর মল্লিক, যিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ১২ সেপ্টেম্বর এই দিনে, তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন যে, ছয় দফার ভিত্তিতে ইয়াহিয়া খানের সাথে এখন আর কোনো আপসের প্রশ্নই ওঠে না। এই ঘোষণার পেছনে ছিল একটি গভীর কারণ: প্রায় এক কোটি মানুষ তখন শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, এবং কয়েক লাখ লোক পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অত্যাচারে নিহত হয়েছে।

ড. মল্লিকের এই বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধের নৈতিক এবং রাজনৈতিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করে। ছয় দফা, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রধান দাবি ছিল, তা পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন এবং অধিকারের প্রতীক। ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন এই দাবিগুলোকে অস্বীকার করে যুদ্ধের সূচনা করেছে, এবং ড. মল্লিকের মতে, এমন অবস্থায় আপস মানে হবে জনগণের ত্যাগকে অসম্মান করা। এই সংবাদ সম্মেলনটি বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজের মনোভাবকে প্রতিফলিত করে এবং সংগ্রামকে আরও তীব্র করে তোলে।

ভারত–বাংলা মৈত্রী সম্মেলন: স্বীকৃতির দাবি এবং আশঙ্কা প্রকাশ

দিল্লিতে এই দিনে ভারত–বাংলা মৈত্রী সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যা ভারত–বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত ছিল। এই সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে আরও দেরি হলে সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে এবং গণতন্ত্রবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ভারত ও বাংলাদেশ—দুই জায়গাতেই প্রবল হয়ে উঠবে। এই আশঙ্কা ছিল যথার্থ, কারণ পাকিস্তানের অত্যাচারের ফলে সাম্প্রদায়িক বিভেদ এবং প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলোর উত্থানের সম্ভাবনা ছিল প্রবল।

সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী: ওয়াই বি চ্যাবন, মইনুল হক চৌধুরী এবং সিদ্ধার্থ শংকর রায়। এছাড়া দিল্লির বাংলাদেশ মিশনের আমজাদুল হকও উপস্থিত ছিলেন। এই সম্মেলনটি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে এবং স্বীকৃতির দাবিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরে। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

পাকিস্তানি দূতের প্রত্যাবর্তন: মাহমুদ আলীর ইউরোপ ও আমেরিকা সফরের ফলাফল

পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সহসভাপতি মাহমুদ আলী পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকা সফর শেষ করে এই দিন ঢাকায় ফিরে আসেন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে তিনি জানান যে, ইউরোপের গণমাধ্যমগুলোতে একই সুরে প্রচার চলছে যে, পূর্ব পাকিস্তানে একটি অঘটন ঘটে গেছে। পাকিস্তানের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা দলটিকে (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা না দিয়ে সেনাবাহিনী সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের জনগণের দাবি নস্যাৎ করতে চায়।

মাহমুদ আলী আরও বলেন যে, ইউরোপের বুদ্ধিজীবীরা তাদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, যা ঘটবার ঘটেছে। এখন যারা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তাদের নেতার সাথে আপস করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এই বক্তব্য পাকিস্তান সরকারের প্রচারণার অংশ ছিল, কিন্তু এটি মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতাকে অস্বীকার করে। এই সফরের ফলাফল দেখায় যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের অবস্থানকে সমালোচনা করছে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়ায়।

মুক্তিবাহিনীর অভিযান: সেক্টরভিত্তিক সাহসিকতা

মুক্তিযুদ্ধের মূল শক্তি ছিল মুক্তিবাহিনী, যারা বিভিন্ন সেক্টরে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর এই দিনে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযান ছিল অত্যন্ত সফল এবং কৌশলপূর্ণ। নিম্নে সেক্টরভিত্তিক বিস্তারিত বর্ণনা:

১ নম্বর সেক্টর: মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের একটি প্যাট্রল দলকে অ্যামবুশ করে আক্রমণ করে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৯ রাজপুত ব্যাটালিয়নের একটি দল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান করে। ফলে পাকিস্তানি প্যাট্রল দলের কয়েকজন আহত হয়। এছাড়া, এই সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটি দল চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার উশখাইল গ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন এদেশীয় সহযোগী আবদুল হাকিমকে অভিনব কৌশলে শাস্তি দেয়। আবদুল হাকিম স্থানীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল এবং তথাকথিত শান্তি কমিটির সদস্য ছিল। এদিন তার মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে বরপক্ষের সাথে আলোচনার কথা ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা বরপক্ষের ছদ্মবেশে মিষ্টির হাঁড়িসহ তার বাড়িতে হাজির হয়। বরপক্ষকে অভ্যর্থনা জানাতে আবদুল হাকিম বাড়ির বাইরে এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে গুলি করে হত্যা করেন। এই সেক্টরের অন্য একটি দল ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি সড়কে মাইন পুঁতে রাখে, যার বিস্ফোরণে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়।

২ নম্বর সেক্টর: একদল মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার গোমতী নদীতে টহলরত পাকিস্তানি সেনাদের অতর্কিতে আক্রমণ করে, যাতে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। এই সেক্টরের আরেক দল জগন্নাথ দীঘিতে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা করে, যাতে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্য আরেকটি দল শালদায় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়।

৮ নম্বর সেক্টর: একদল মুক্তিযোদ্ধা সাতক্ষীরা জেলার ভোমরায় পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়, যাতে দুজন পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়।

এই অভিযানগুলো মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কৌশলের সফলতা প্রমাণ করে এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে দুর্বল করে তোলে। এগুলো সংগ্রামের সামরিক দিককে শক্তিশালী করে এবং জনগণের মধ্যে আশা জাগায়।

একটি দিনের ঘটনা এবং মুক্তিযুদ্ধের গতি

১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১-এর ঘটনাগুলো মুক্তিযুদ্ধের বহুমুখী চরিত্রকে তুলে ধরে—রাজনৈতিক আলোচনা থেকে শুরু করে সামরিক অভিযান পর্যন্ত। এই দিনের ঘটনাবলী দেখায় যে, স্বাধীনতার পথে বাধা অতিক্রম করতে দেশী-বিদেশী সমর্থন এবং সাহসিকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিবেদনটি ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে সম্পাদিত, যাতে সকল বিবরণ অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।

সূত্র:

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ; সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর এক, দুই ও আট; পূর্বদেশ, ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১;

আনন্দবাজার পত্রিকা ও যুগান্তর, কলকাতা, ভারত, ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: শেখ মুজিবুর রহমানই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতীক

১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন

কৃষ্ণপুর-ধনঞ্জয় গণহত্যা (কুমিল্লা আদর্শ সদর)

১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ভুটানের রাজার শরণার্থীশিবির পরিদর্শন, অপ্রত্যাশিত সমর্থন

শোভনা গণহত্যা (খুলনা)

উদয়পুর গণহত্যা (মোল্লাহাট, বাগেরহাট)

১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহস এবং পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ

৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন

ঘোড়াইল গণহত্যা (কেন্দুয়া, নেত্রকোনা)

৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আন্তর্জাতিক চাপ এবং গেরিলা অভিযানের দিন

১০

কাঁঠালতলা গণহত্যা (ফকিরহাট, বাগেরহাট)

১১

সাভিয়ানগর গণহত্যা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এক নৃশংস অধ্যায়

১২

গোয়ালগ্রাম বধ্যভূমি: মুক্তিযুদ্ধের এক ভয়াবহ গণহত্যা (দৌলতপুর, কুষ্টিয়া)

১৩

গুরই গণহত্যা: একটি ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি (নিকলী, কিশোরগঞ্জ)

১৪

৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: কলকাতা মিশন হলো বাংলাদেশ হাইকমিশন

১৫

৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ইকরদিয়া গণহত্যা – এক নির্মম অধ্যায়

১৬

৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযান, বিভিন্ন সেক্টরে আক্রমণ

১৭

২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি

১৮

রাণীগঞ্জ বাজার গণহত্যা | জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ

১৯

ধোবাজোড়া গণহত্যা | মিটামইন, কিশোরগঞ্জ

২০