১৯৭১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে এক নৃশংস গণহত্যা সংঘটিত হয়। এই ঘটনায় ১০ জন নিরপরাধ মানুষ শহীদ হন।
ঘটনার পটভূমি ও বিবরণ
২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সাদকপুর গ্রামের উদাগাজির বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল আশ্রয় নেয়। এই খবর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে পৌঁছলে ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে তারা কংশনগর থেকে উদাগাজির বাড়ি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়েন। তুমুল যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে পিছু হটেন।
যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি বাহিনী উদাগাজির বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ করতে থাকে। কাউকে না পেয়ে তারা বাড়ি থেকে সাধারণ মানুষদের উঠানে এনে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। এই গণহত্যায় ১০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন:
শহীদদের মরদেহ সন্ধ্যার পর সাদকপুর ও নিকটবর্তী কণ্ঠনগর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা মিলে ২-৩টি গর্ত খুঁড়ে সমাহিত করে। তবে শহীদ কবির হোসেনের মরদেহ তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা চান্দিনার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে সমাহিত করেন।
একই দিন কোমাল্লা গ্রামে (বর্তমানে দক্ষিণ শ্যামপুর) পাকিস্তানি সৈন্যরা দেওয়ান আলীকে (পিতা: ওমেদ মিয়া) গুলি করে হত্যা করে।
সূত্র
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, ১০ম খণ্ড [তানভীর সালেহীন ইমন]
মন্তব্য করুন