ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ‘পূর্ব বাংলার সমস্যার সমাধান শেখ মুজিবের সঙ্গেই করতে হবে’

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ‘পূর্ব বাংলার সমস্যার সমাধান শেখ মুজিবের সঙ্গেই করতে হবে’

১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি ঘটনাবহুল দিন। এই দিনে দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ ঘটে। নিম্নে এই দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো।

দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ

কুমিল্লায় আক্রমণ: ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার দক্ষিণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কংসতলা ঘাঁটিতে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই তীব্র যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী এতটাই বিপর্যস্ত হয় যে তারা কংসতলা ঘাঁটি পরিত্যাগ করে কুমিল্লায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি সুবেদার শাহজামানসহ ১৬ জন সৈন্য নিহত এবং ৮ জন আহত হন।

ফেনীতে মুক্তিবাহিনীর হামলা

ফেনীতে ক্যাপ্টেন পাশার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা নয়নপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ করে। একই সঙ্গে ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযোদ্ধা দল নয়নপুরে আক্রমণ চালায়। এই তীব্র আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী নয়নপুর ছেড়ে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশনের মূল ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়। পরে ক্যাপ্টেন গাফফারের দল এই যুদ্ধে যোগ দেয়। একই সময়ে মেজর সালেকের বাহিনী শালদা নদীতে আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি বাহিনী অন্যান্য স্থান থেকে শক্তি সংগ্রহ করে জমায়েত হলে মেজর সালেকের বাহিনীর গোলাবারুদ ফুরিয়ে যায়, ফলে তারা উত্তরে মন্দভাগে ফিরে যায়। পাকিস্তানি বাহিনীর শক্তিশালী অবস্থানের কারণে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। তিনি ক্যাপ্টেন গাফফারের একটি কোম্পানিকে শালদা নদীর উত্তর তীরে মোতায়েন করেন। মেজর সালেক শালদা নদী পার হয়ে স্টেশনের পশ্চিমে গোডাউন এলাকায় অবস্থান নেন। ক্যাপ্টেন আশরাফ মন্দভাগ থেকে শালদা নদীর দিকে অগ্রসর হন। ক্যাপ্টেন পাশা মন্দভাগে আর্টিলারি অবস্থান নেন, এবং সুবেদার জব্বার মর্টার সাপোর্ট নিয়ে শালদা নদীর তীরে অবস্থান নেন। খালেদ মোশাররফ নিজে এই অভিযানের কমান্ড নেন। এই সময় পাকিস্তানি ৩৩ বেলুচ ব্যাটালিয়ন কসবা ও কুটিতে এবং ৩০ পাঞ্জাব নয়নপুরে শক্তিশালী অবস্থান নেয়।

নওগাঁয় রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ

নওগাঁয় মুক্তিবাহিনী মকলেসুর রহমান রাজার নেতৃত্বে বাগমারা থানার নিকরা ও বাইগাছায় রাজাকারদের দুটি শক্তিশালী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। এতে রাজাকারদের উভয় ক্যাম্প ধ্বংস হয় এবং অনেক রাজাকার নিহত ও আহত হন।

সিলেটে দুঃসাহসিক অভিযান

সিলেটের জাফলং-এ মুক্তিবাহিনীর একটি দল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই সংঘর্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত হন।

বগুড়ায় রেললাইন ধ্বংস

বগুড়ার নশরতপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনে মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা মাইন বিস্ফোরণ ঘটায়, যাতে পাকিস্তানি সৈন্যবাহী ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সিলেটে সীমান্তবর্তী গ্রামে গোলাবর্ষণ

পাকিস্তান সরকারের বরাত দিয়ে পত্রিকাগুলো জানায়, সিলেটের (হবিগঞ্জ, মাধবপুর, শ্রীমঙ্গল) সীমান্তবর্তী পাঁচটি গ্রাম—মনতলা, কমলাপুর, জয়পুর, ধর্মনগর, হরশপুর—এ মুক্তিবাহিনী ১০০০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ করে। এতে ১২ জন নারী, ৮ জন শিশুসহ ২৮ জন নাগরিক নিহত এবং ১৩ জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজন টেলিফোন কর্মচারী ছিলেন, যারা টেলিফোন লাইন মেরামত করছিলেন। পাকিস্তানি বাহিনী দাবি করে, তারা বিদ্রোহীদের প্রতিহত করেছে এবং তল্লাশি চালিয়ে ৩টি হালকা মেশিনগান, ১৪৫ বাক্স ছোট অস্ত্রের গুলি, ১০০টি হেলমেট, ৪০টি মাইন, ৩টি ওয়ারলেস সেট এবং ৮৭টি হাতবোমা উদ্ধার করে। সাগরনলে রাজাকাররা একটি ব্রিজ ধ্বংসের প্রচেষ্টা প্রতিহত করে, এবং সেখানে তাদের গুলিতে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন।

ঢাকায় এদিন

সাংবাদিক সম্মেলনে আসগর খানের বক্তব্য: ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তেহরিক-ই-ইস্তেকলাল প্রধান এয়ার মার্শাল (অব.) আসগর খান বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমএনএ ও এমপিদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে তাদের স্বপদে পুনর্বহাল করা উচিত। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, তাদের ক্ষমতায় আসা উচিত। এই প্রস্তাব গ্রহণ করলে প্রদেশে মৃত্যুজনিত কারণ ছাড়া উপনির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবী (রাজাকার) ও শান্তি কমিটিগুলো মফস্বলে অত্যাচার করছে। তিনি পরাজিত দলের সদস্যদের মন্ত্রী করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন এবং বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগের বহাল সদস্যদের মনোনয়ন দেওয়া উচিত ছিল।

চীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংবর্ধনা

চীনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাকিস্তান-চীন মৈত্রী সমিতির পূর্ব পাকিস্তান শাখা ঢাকার হোটেল পূর্বানীতে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে খ অঞ্চলের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল নিয়াজি, মন্ত্রী অং শু প্রু, অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম, শিল্পমন্ত্রী আখতার উদ্দিন, রাজস্ব মন্ত্রী একেএম ইউসুফ, শামসুল হক, কাইউম মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক সবুর খান, জাতীয় লীগের আতাউর রহমান খান এবং হাইকোর্টের বিচারপতি মকসুমুল হাকিম অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চীনের কনসাল জেনারেল চেং ইং। মৈত্রী সমিতির সভাপতি মির্জা গোলাম হাফিজ বলেন, পাকিস্তানের বিপদে চীনের অকুণ্ঠ সাহায্য ও সমর্থনের জন্য চীনা জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চীন ও পাকিস্তান পরস্পরের শ্রেষ্ঠ বন্ধু, এবং কোনো শক্তি তাদের এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরাতে পারবে না। চেং ইং বলেন, গণচীন সব সময় পাকিস্তানের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম সমর্থন করবে এবং বিদেশি আক্রমণের সময় পাকিস্তানের পাশে থাকবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহশিক্ষা বন্ধ

শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সহশিক্ষা বন্ধের ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের কয়েকজন প্রখ্যাত আলেম। তারা হলেন বগুড়ার মস্তাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নজিবুল্লাহ, কুমিল্লার শাহতলি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা রুহুল আমিন, নোয়াখালীর রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কামাল উদ্দিন খান এবং আহসানাবাদ আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহুরুল হক।

সিলেটে সমাবেশ

সিলেটের বালাগঞ্জে বালাগঞ্জ থানা শান্তি কমিটির আয়োজনে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে পাকিস্তানের সংহতি ও অখণ্ডতার পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহকুমা জামায়াত সভাপতি হাফেজ লুতফর রহমান। বক্তব্য রাখেন জেলা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ও মুসলিম লীগ নেতা শহীদ আলী, জেলা শান্তি কমিটির সদস্য ডা. আব্দুল মালিক, বালাগঞ্জ থানা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ফজলুর রহমান এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক সৈয়দ আহমেদ।

আন্তর্জাতিক মহলে এদিন

ইন্দিরা গান্ধীর সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর: ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তিন দিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর শেষে দেশে ফিরে আসেন। সফরকালে তিনি সোভিয়েত নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সফর সঙ্গীরা ধারণা করেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য পাকিস্তানের সামরিক সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। সফর শেষে প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা, অধিকার এবং ন্যায়সঙ্গত স্বার্থের প্রতি যথাযথ মর্যাদা দিয়ে পূর্ব বাংলার পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এই সমাধান লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবে।

জাতিসংঘে মাহমুদ আলীর বক্তব্য

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের নেতা মাহমুদ আলী বলেন, তর্ক-বিতর্ক না করে শরণার্থীদের স্বদেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। তিনি শরণার্থীদের দুঃখ-দুর্দশা মোচনকে জাতিসংঘের নৈতিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন এবং দাবি করেন, ভারত পাকিস্তানকে খণ্ডবিখণ্ড করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ভারতের দাবি করা ৯০ লাখ শরণার্থীর সংখ্যা অতিরঞ্জিত এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি সীমান্তে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক নিয়োগে পাকিস্তানের সমর্থনের কথা জানান।

সরণ সিং-এর বক্তব্য

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরণ সিং জাতিসংঘে বলেন, পূর্ব বাংলার সমস্যার সমাধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেই করতে হবে। তিনি পাকিস্তানের উপর অভিযোগ করেন যে, তারা ভারত-পাকিস্তান বিরোধের কথা প্রচার করে পূর্ব বাংলার ঘটনা আড়াল করতে চায়। তিনি বলেন, পাকিস্তান একদিকে ভারতকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে, অথচ অন্যদিকে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দেয়। তিনি পূর্ব বাংলার সমস্যাকে পাকিস্তান-ভারত সমস্যা হিসেবে প্রচারের সমালোচনা করেন।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা

সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে গ্রোমিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মনে করেন, ভারত উপমহাদেশের পরিস্থিতি বিপজ্জনক, তবে যুদ্ধ এর সমাধান নয়। গ্রোমিকো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে বৈঠকে শরণার্থী প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। দুই পক্ষই ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত থাকার এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দেন।

জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর ইশতেহার

নিউইয়র্কে প্রায় ৫০টি জোটনিরপেক্ষ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ইশতেহারে বাংলাদেশের শরণার্থী সমস্যায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়। ইশতেহারে বলা হয়, শরণার্থীদের স্রোত ভারতে প্রবেশ করায় ভারতের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। এই স্রোত বন্ধ করতে এবং শরণার্থীদের নিরাপদে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন।

শরণার্থী শিবিরে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত

পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরগুলো ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ঝড়ে শিবিরের তিন ভাগের এক ভাগ আবাস সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সল্ট লেক শিবির, যেখানে আড়াই লাখ শরণার্থী বাস করে। ভারত সরকার দ্রুত তাবু ও ছাউনি মেরামতের কাজ শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলে, বিশেষ করে খুলনায় আঘাত হানে, যেখানে ৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসে এলাকা তলিয়ে যায়। এটি গত বছরের নভেম্বরের দুর্যোগের পর সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড়। শরণার্থীদের মধ্যে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সূত্র

যুগান্তর, কালান্তর, ১ অক্টোবর ১৯৭১

পূর্ব পাকিস্তানের সকল পত্রিকা,

১ অক্টোবর ১৯৭১ দৈনিক সংগ্রাম,

১ অক্টোবর ১৯৭১ স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, ১০ম খণ্ড

পূর্বদেশ, ১ অক্টোবর ১৯৭১

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪ অক্টোবর ১৯৭১: বিনা শর্তে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি দাবি মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায়

১ অক্টোবর ১৯৭১: রায়পুরের রাজাকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গেরিলাদের আক্রমণ

হাসনাবাদ গণহত্যা (নবাবগঞ্জ, ঢাকা)

কাটেঙ্গা গণহত্যা (ডুমুরিয়া, খুলনা)

৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ‘পূর্ব বাংলার সমস্যার সমাধান শেখ মুজিবের সঙ্গেই করতে হবে’

২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: “বিদেশি চাপে আমাদের বহু চেষ্টা নস্যাত হয়ে গেছে”

২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: জাতিসংঘে বাংলাদেশ নিয়ে নাটকীয়তা

সাদকপুর গণহত্যা (বুড়িচং, কুমিল্লা)

ফুলদহেরপাড়া গণহত্যা (সরিষাবাড়ী, জামালপুর)

আন্দুলিয়া গণহত্যা (ডুমুরিয়া, খুলনা)

১০

২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বিজয়ই আমাদের একমাত্র ও চূড়ান্ত গন্তব্য

১১

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতারণা: জনগণের অট্টহাসি ও অবিশ্বাসের প্রতিফলন

১২

২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: চালনা বন্দরে মার্কিন জাহাজ মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস

১৩

বীর উত্তম আবদুস সালেক চৌধুরী: আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছিল যাঁর সাহস

১৪

রামনগর গণহত্যা (রায়পুরা, নরসিংদী)

১৫

২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ভিয়েতনামের সমর্থন

১৬

মামুদপুর গণহত্যা (গোপালপুর, টাঙ্গাইল)

১৭

ত্রিমোহনী গণহত্যা ও বধ্যভূমি, নেত্রকোনা

১৮

২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১: ঢাকায় প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক

১৯

চিংড়া গণহত্যা (ডুমুরিয়া, খুলনা)

২০