ঢাকা সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

মাগুরার সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
০৩ মে ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়
ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আরও ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে মামলার দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আসামিরা এ সময় আদালতে হাজির ছিলেন।

এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন আছিয়ার বোন মোছা. হামিদা এবং জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। ঘটনার পর নয়ন শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সাক্ষ্য প্রদান শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার কার্য সম্পন্ন করতে বিচার সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামি ধর্ষণের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে সজিব শেখ এবং রাতুল শেখের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

এক নাগাড়ে তৃতীয় দিন পর্যন্ত মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ রয়েছে। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার নার্সসহ ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রাম থেকে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছর বয়সী আছিয়া। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সেদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হয়। মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা ও পরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মবতন্ত্রের জয়

ডিজিটাল দাসত্ব: মনোযোগ অর্থনীতি ও জ্ঞান পুঁজিবাদে তরুণ প্রজন্মের মননশীলতার অবক্ষয়

২০ জুলাই, ১৯৭১: বাংলাদেশে কুচক্রী আগ্রাসন

২০ জুলাই ১৯৭১: বিলমাড়িয়া হাটে গণহত্যা পাকিস্তানি সেনাদের

কোপার্নিকাস: আলো হয়ে জন্ম নেওয়া বৈপ্লবিক মতবাদের প্রবর্তক

১৯ জুলাই ১৯৭১: ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর তিন দুঃসাহসিক অভিযান ও অন্যান্য ঘটনা

বিভেদ-বিতর্ক রেখেও ঐক্য গড়া যায়

১৮ জুলাই ১৯৭১: ভারতীয় সেনাপ্রধান হঠাৎ কলকাতায়

১৭ জুলাই ১৯৭১: দেশজুড়ে মুক্তিবাহিনীর সাহসী অভিযান

১৬ জুলাই ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন

১০

জয় বাংলার উচ্ছ্বাস খুঁজি

১১

১৫ জুলাই ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এক ঘটনাবহুল দিন

১২

নতুন আতঙ্ক জিকা ভাইরাস : করণীয় কী?

১৩

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভূতের আক্রমণ

১৪

মিথ্যা তথ্যের জালে নতুন প্রজন্ম!

১৫

জানুয়ারি থেকে জুন, প্রতিদিন ১১ খুন

১৬

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি: জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি

১৭

১৩ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়

১৮

১২ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা, রণনীতি ও কৌশল নির্ধারণে ঐতিহাসিক সেক্টর কমান্ডার্স সম্মেলন

১৯

১০ জুলাই ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের গতিধারা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

২০