এক সপ্তাহেই দুইটা ঘটনা ঘটে গেল। সারা শহরে, সারা দেশে হই হই রৈ রৈ - আশিক চৌধুরী, আশিক চৌধুরী। মাত করে দিলেন তিনি, দারুণ প্রেজেন্টেশন দিলেন।
একটা লণ্ডভণ্ড অর্থনীতি আর গাজার মতো ধ্বংসস্তূপে “Enhanced Plot Facilities” স্লাইড দেখিয়ে সবাইকে অবাক করে দিলেন। কিন্তু, আসলে প্রজেক্টগুলো অনেক আগ থেকেই অনুমোদন হয়ে আছে। কিছু কিছু প্রজেক্ট প্রায় শেষের পথে। মাত্র আট মাসে বেজার যে অগ্রগতি, তা অবিশ্বাস্য। অবশ্য বেজা এই কাজটি করেছে ২০১০ থেকে, হাইটেক পার্কও তাই। আর বিডা তো কাজ করছে ২০১৬ থেকে। যা হোক, প্রেজেন্টেশনটা তো ভালো হয়েছে। স্মার্ট প্রেজেন্টার! ওয়াও!!!
কিন্তু মুস্তফা ফারুকী এটা কী করলেন! মনে হলো সংস্কৃতির দুর্ভিক্ষই তুলে ধরলেন। অবশ্য এটা নিশ্চিত উনি কখনও মঙ্গল শোভাযাত্রা দেখেননি। যা শুনেছেন, তাই বলেছেন।
পুরান ঢাকার বিয়েবাড়ির ব্যান্ড পার্টি, ঘোড়া আর বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে ঘোড়াগাড়ি এনে সংস্কৃতির আকাল তুলে ধরলেন। ফাইন আর্টস ইনস্টিটিউট প্রত্যাখ্যান করেছে, তাতে কী? পুরান ঢাকার মিস্ত্রিরা আছে না? ওদের দিয়েই কাজটা করে ফেললেন। নিজের জেদ তো টিকিয়ে রাখতে পারলেন!!!
ফারুকীর এই ধরনের সুপার ফ্লপে অভ্যস্ত। তার টেলিভিশন সিনেমা হিট করেছিল, কিন্তু ৪২০, ৮৪০ তো ফ্লপ খেয়েছে। তাতে তার উপদেষ্টা দায়িত্বে কোনো অসুবিধা নেই। অন্য উপদেষ্টারা এসব নিয়ে চিন্তাও করে না। যার যার ধান্ধা তার তার কাছে। কে যে কী করছে কেউ বুঝে না।
তার উপর আমার শুরু হয়েছে আমরণ অনশন। রাজু ভাস্কর্যে ইউনুসকে তারা ৫ বছর দেখতে চায়। যদিও আজকে ৫ জন বসেছে, এটা লক্ষ লক্ষ হতে কত আর সময় লাগবে?
গত পরশুও নারায়ণগঞ্জ “মার্চ ফর ইউনুস”-এ হয়েছিল পনেরো জন। এখন ইউনুস সেন্টার অ্যাকটিভ হয়ে উঠেছে। আমরা ছুটে চলেছি কোম্পানি শাসনের দিকে। দেখা যাক, কোথায় গিয়ে ঠেকে।
মন্তব্য করুন