ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

প্যাথোক্র্যাসির সরকার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের গুজব

সিরাজুল হোসেন
১১ মে ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
১২ মে ২০২৫, ১১:০৯ এএম
প্যাথোক্র্যাসির সরকার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের গুজব

আমাকে একজন বলল আওয়ামী লীগ যে নিষিদ্ধ হয়ে গেল, আপনি কিছু লিখলেন না? আমি বললাম তাই নাকি? আওয়ামী লীগকে কে নিষিদ্ধ করেছে? সে বলল, কেন - সরকার নিষিদ্ধ করেছে। আমি বললাম কাল না আপনাকে আমি ১০ বছর জেল দিলাম অবান্তর প্রশ্ন করার জন্য, আপনি জেলের বাইরে কেন? সে হতচকিত হয়ে বলল মানে? আমি বললাম এটাতো ইসলামী খিলাফতের রাষ্ট্র নয় যে সুরা সদস্যরা ওহি নাজিল করলে সেটা বাস্তবায়িত হবে। যে সরকার বৈধ নয়, তার কোন আদেশ নির্দেশের কোন মূল্য নেই। সংসদ ছাড়া এদেশে আর কারো কোন কিছু নিষিদ্ধ করার কোন অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবর নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনই গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের অবস্থা হয়েছে উপেন্দ্রকিশোর রোয়চৌধুরীর 'বোকা বাঘের' গল্পের বাঘের মত।

এক রাজার বাড়ির কাছে এক শিয়াল থাকত। রাজ বাড়ির গোয়াল ঘরের পিছনে তার গর্ত ছিল। রাজার গোয়ালে ছাগলগুলি খুব সুন্দর আর মোটাসোটা ছিল। তাদের দেখলেই শিয়ালটির ভারি খেতে ইচ্ছে হত। কিন্তু রাজার রাখালগুলির ভয়ে তাদের কাছে আসতে পারত না। তখন শিয়াল তার গর্তের ভিতর থেকে একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়তে আরম্ভ করল। সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সে ছাগলের ঘরে এসে উপস্থিত হল, কিন্তু তবুও সে ছাগল খেতে পারল না। রাখালের দল তখন সেখানেই বসে ছিল। তারা শিয়ালকে দেখতে পেয়েই তাকে ধরে ফেলল। তারপর তাকে গোয়ালের খুঁটিতে বেঁধে রেখে তারা চলে গেল। যাবার সময় বলে গেল, 'কাল দিনের বেলায় এটাকে নিয়ে সকলকে তামাশা দেখাব, তারপর মারব। আজ রাত হয়ে গেছে, জমবে না।

রাখালেরা চলে গেছে, শিয়াল বিমর্ষ হয়ে মাথা হেঁট করে বসে আছে, এমন সময় এক বাঘ সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। খুঁটিতে বাঁধা শিয়ালকে দেখে বাঘ ভারি আশ্চর্য হয়ে বলল, কি ভাগ্নে, এখানে বসে কী করছ"?

শিয়াল বলল, বিয়ে করছি

বাঘ বলল, "কনে কোথায়? লোকজন কোথায়?"

শিয়াল বলল, কনে তো রাজার মেয়ে! লোকজন তাকে আনতে গেছে!"

বাঘ বলল, 'তুমি বাঁধা কেন?"

শিয়াল বলল, আমি আসলে বিয়ে করতে চাইছিলাম না তো, তাই আমাকে বেঁধে রেখে গেছে, যাতে আমি পালাতে না পারি'

বাঘ বলল, সত্যিই! তুমি বিয়ে করতে চাচ্ছ না?"

শিয়াল বলল, সত্যি মামা! আমার বিয়ে করতে একটুও ইচ্ছে হচ্ছে না"

সেটা শুনে বাঘ ভারি ব্যস্ত হয়ে বলল, "তবে তোমার জায়গায় আমাকে বেঁধে রেখে তুমি চলে যাও না!"

শিয়াল বলল, সেটাইতো চাইছি, তাড়াতাড়ি তুমি এসে আমার বাঁধন খুলে দাও, তারপর আমি তোমাকে বেঁধে রেখে যাচ্ছি"

তখন বাঘের আনন্দ দেখে কে! সে তখনই এসে শিয়ালের বাঁধন খুলে দিল। শিয়ালও আর দেরি না করে, তাকে ভালো মতো গোয়ালের খুঁটিতে বেঁধে শেয়াল বলল, "একটা কথা মামা। তোমার শালারা এসে তোমার সঙ্গে হাসি-তামাশা করবে। তাতে আবার তুমি চটো না কিন্তু?'

বাঘ বলল, 'আরে না! আমি কি অত সহজে চটি? আমি বুঝি এতই বোকা!

এ-কথায় শিয়াল হাসতে-হাসতে চলে গেল।

বাঘ ভাবতে লাগল, কখন কনে নিয়ে রাজার লোকজন আসবে......

বাস্তবের বাঘ শোয়াল স্ব স্ব প্রজাতির বন্যপ্রাণীসুলভ চরিত্র ধারণ করলেও গল্প ও উপকথার বাঘেরা অনেক শক্তিশালী ও সোজা সাপটা কিন্তু শেয়ালেরা চতুর ও মিথ্যাবাদী। তাদের কাজই হল মিথ্যা বলা, বিভ্রান্ত করা এবং সে নিজে আইন, আদর্শ এবং নৈতিকতার বাইরে এই মনোভাব ধারণ করা।

মানুষের জন্য সাইকোলজিক্যাল ডার্ক ট্রায়াড বা সাইকোপ্যাথিক চরিত্রের একটি বড় নির্নায়ক হচ্ছে মিথ্যা বলা, মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং সে নিজে আইন এবং নৈতিকতার বাইরে এই মনোভাব ধারণ করা। প্রশ্ন হচ্ছে এই ধরণের সাইকোলজিক্যাল ডার্ক ট্রায়াড বা সাইকোপ্যাথিক চরিত্র প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা, প্রশাসনিক ক্ষমতা বা আইন প্রণয়নের ক্ষমতার নেতৃত্বে চলে আসতে পারে কিনা। গত দুই দশকে আমরা দেখছি বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান নিজেরা আইন ও নৈতিকতার বাইরে এমন মানসিকতা ধারণ করেছে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীগুলো এবং ক্রমে সেটি বিকাশ লাভ করেছে আধাসামরিক ও পুলিশি ক্ষমতার দপ্তরগুলোতে এবং পরিশেষে সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানে।

৫ অগাস্ট সেই সাইকোলজিক্যাল ডার্ক ট্রায়াড বা সাইকোপ্যাথিক চরিত্ররা একত্রিত হয়ে পুরো বাংলাদেশ দখল করে ফেলেছে। পোলিশ মনোবিজ্ঞানী আন্দ্রেজ লোবাকজেউস্কি একটি টার্ম উদ্ভাবন করেছেন যেটি হল প্যাথোক্রাসি। প্যাথোক্রাসি এমন একটি সরকারী ব্যবস্থার কথা বর্ণনা করে যেখানে মানসিক রোগগ্রস্থ ব্যক্তিরা, বিশেষ করে সাইকোপ্যাথি বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যক্তিরা, ক্ষমতা ও প্রভাবের নিয়ন্ত্রকের অবস্থানে অধিষ্ঠিত হয়। এই ধারণাটি লোবাকজেউস্কির পোনেরোলজি বিষয়ে অধ্যয়নের ভিত্তি যেটি দুষ্ট প্রশাসনের প্রকৃতি এবং এর সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর এর প্রভাব পরীক্ষা নীরিক্ষা করে। পোনেরোলজি হলো শয়তান বিদ্যা, যার মাধ্যমে মানুষের শৃগালসুলভ আচরণের বিষয়ে অধ্যয়ন করা হয়।

প্যাথোক্রাসির বৈশিষ্ট্য হল এমন নেতা ও কর্মকর্তা যারা সাইকোপ্যাথি বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করেন, যেমন: সহানুভূতির অভাব, প্রতারণামূলক স্বভাব, অহংবোধ, এবং প্রতারণা ও শোষণের প্রবণতা। এই প্যাথোলজিকাল ব্যক্তিরা প্রায়ই একটি আদর্শিক মুখোশের পিছনে লুকিয়ে থাকে, একটি বিশ্বাস ব্যবস্থা (যা রাজনৈতিক, ধর্মীয়, বা অন্য কিছু হতে পারে) ব্যবহার করে তাদের কর্মকে বৈধতা দেয় এবং ক্ষমতা লাভ করে। এই আদর্শিক মুখোশকে তারা নিজেদের স্বার্থে এবং তাদের আচরণকে ন্যায্যতা দিতে ব্যবহার করে। একটি প্যাথোক্রাসিতে শাসনকর্তারা জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে প্রতারণা, প্রচার এবং ধোকাবাজি ব্যবহার করেন। তারা বাস্তবতাকে বিকৃত করে, ভুল তথ্য ছড়ায়, এবং জনসাধারণের উপলব্ধিকে বিভ্রান্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে দ্ব্যর্থবোধক চিন্তা (ডাবল থিংকিং), জর্জ অরওয়েল যেমন বর্ণনা করেছেন, সেটা ব্যবহার করে।

প্যাথোক্রাসিতে সাধারণত বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে বিরোধিতা ও বিরোধীদের দমন করা হয়, যেমন সেন্সরশিপ, ভীতি প্রদর্শন, সহিংসতা, এবং আইনগত নিপীড়ন। এই দমন তাদের ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়, কারণ এটি হুমকি বা বিরোধীদের নির্মূল বা নিষ্ক্রিয় করে। প্যাথোক্রাসিতে দুর্নীতি অত্যন্ত প্রকট হয়, যেখানে ক্ষমতা ও সম্পদ প্যাথোলজিকাল অভিজাতদের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়। এটি প্রায়শই ব্যাপক ক্ষমতার অপব্যবহার, শোষণ, এবং নৈতিক মান ও মানদণ্ডের ক্ষয় ঘটায়। প্যাথোক্র্যাটিক শাসনের অধীনে সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতি ঘটে। সাধারণতঃ জনগণ আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে, তারা সহিংসতা ও দুর্নীতির প্রতি অসংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে এবং স্বাভাবিক ও প্যাথোলজিকাল আচরণের মধ্যে পার্থক্য অস্পষ্ট হয়ে যায়।

প্যাথোক্র্যাটিক ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনুপ্রবেশ করে অথবা একটি বিপ্লবের মোড়কেও ক্ষমতার উচ্চতম অবস্থানে উঠে আসে। তারা প্রায়শই প্রকৃত নেতা ও নৈতিক ব্যক্তিদের দুর্বল করে বা নির্মূল করে প্রভাব অর্জনের সুযোগকে কাজে লাগায়। একবার ক্ষমতায় আসার পর, এই ব্যক্তিরা তাদের নিয়ন্ত্রণ সংহত করার জন্যই শুধু কাজ করে। প্রায়শই প্যাথোলজিকাল ব্যক্তিরা নিজেদের একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করে। এই নেটওয়ার্ক তাদের কর্তৃত্বকে শক্তিশালী করে এবং তাদের প্রভাব স্থায়ী করে। দীর্ঘদিন এটা চললে সমাজের মধ্যে প্যাথোলজিকাল আচরণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। যা একসময় অনৈতিক বা অশোভন হিসাবে বিবেচিত হতো তা গ্রহণযোগ্য বা এমনকি সফলতা বলে উদযাপিত হতে পারে। সমাজের নৈতিক ও নৈতিক দিকনির্দেশক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়।

সমাজ ক্রমবর্ধমানভাবে মেরুকৃত হয়ে যায়, যেখানে প্যাথোক্র্যাটিক শাসনব্যবস্থার সমর্থক এবং বিরোধীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিভাজন দেখা যায়। এই মেরুকরণ সামাজিক পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে গঠনমূলক সংলাপ এবং সহযোগিতা অসম্ভব হয়ে ওঠে। পরিশেষে, প্যাথোক্রাসি সবসময়ই অস্থিতিশীল এবং অসুস্থ। প্যাথোলজিক্যাল নেতাদের অদক্ষতা, দুর্নীতি, এবং অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ সিস্টেমের ক্ষয় এবং শেষ পর্যন্ত পতন ঘটায়। তারপর সমাজ পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠনের একটি সময়ের মধ্যে যেতে পারে।

যদিও প্যাথোক্র্যাটিক সিস্টেমগুলির ব্যাপক ক্ষমতা বিদ্যমান কিন্তু সমাজ এই ধরনের প্যাথোলজিক্যাল শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে এবং নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে। শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি সংগঠন এবং সক্রিয় নাগরিকরা প্যাথোক্র্যাটিক প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এবং মানবাধিকার প্রচারের পক্ষে জনমত তৈরির আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্যাথোক্রাসির প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জনসাধারণকে নৈতিক শাসন এবং সমালোচনামূলক চিন্তা সম্পর্কে শিক্ষিত করা সমাজকে প্যাথোলজিক্যাল প্রভাবগুলো চিনতে এবং প্রতিরোধ করতে সক্ষম করতে পারে।

ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা, এবং গণতান্ত্রিক শাসন প্রচারের জন্য আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বাস্তবায়ন প্যাথোক্র্যাটিক ব্যক্তিদের এবং সিস্টেমগুলির উত্থান রোধ করতে সহায়ক হতে পারে। প্যাথোক্রেসির গতিবিধি বোঝার মাধ্যমে, সমাজ নিজেকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্যাথোক্র্যাটিক ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ এবং প্রভাব থেকে আরও ভালভাবে রক্ষা করতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর, আরও ন্যায়পরায়ণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

সাইকোলজিক্যাল ডার্ক ট্রায়াড বা সাইকোপ্যাথিক চরিত্রের প্রধান শক্তি ও অপকর্মের উদ্দীপনা হল ভাল মানুষদের উৎসাহ ও ইতিবাচক বা নেতিবাচক আবেগ। সাইকোলজিক্যাল ডার্ক ট্রায়াডের মতই প্যাথোক্র্যাটিক শাসকদের শক্তি শান্তিকামী ও আইনসিদ্ধ মানুষের প্রতিক্রিয়া। তাদের যত অবহেলা ও উপেক্ষা করা যাবে, তারা ততই দুর্বল হয়ে যাবে। ৫ অগাস্টের যে প্যাথক্র্যাসির অবৈধ সরকার, তাদের সকল উস্কানিকে উপেক্ষা করতে হবে। যে কাজে তাদের কোন অধিকার নেই, সেই কাজ নিয়ে তাদের সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করতে হবে। মানুষ তাদের সরকার হিসাবে দেখার ভ্রান্তিতে ভুগছে ঠিক শেয়ালকে যেমন রাজার মেয়ের জামাই হিসাবে দেখার ভ্রান্তিতে ভুগছিল বনের রাজা বাঘ।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১৯ জুন ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক সমর্থন

বাগেরহাটের কান্দাপাড়া পৈশাচিক গণহত্যা

পাগলা দেওয়ান মসজিদ গণহত্যা

১৮ জুন ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিন ও কান্দাপাড়ার পৈশাচিক গণহত্যা

১৭ জুন ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি

১৬ জুন ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিলগ্নে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও যুদ্ধের মোড় পরিবর্তন

বাজেট ২০২৫-২৬ / বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঋণের বোঝা আরো বাড়বে

নগদের মাধ্যমে সরকারি ভাতার ১৭১১ কোটি টাকা গায়েব!

বাজেট ২০২৫-২৬ / ফরমায়েশের ঝাঁপি, বোঝা বাড়ার ভয়

বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান বৃদ্ধির নির্দেশনা নেই / শিল্প-ব্যবসায় করের বোঝা বাড়ল

১০

মূল্যস্ফীতি ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব

১১

মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা, বাড়বে সংসার খরচ

১২

সংস্কার নাকি অপচয়? / নতুন নোটের পেছনে ২০ হাজার কোটি টাকার গল্প

১৩

৩ জুন, ১৯৭১: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ঘটনাবলি

১৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী / এ কে এম সিদ্দিক বিশ্বাস

১৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী / কোরবান আলী

১৬

শহীদ বুদ্ধিজীবী / শান্তিময় খাস্তগীর

১৭

শহীদ বুদ্ধিজীবী / এ কে এম মনিরুজ্জামান

১৮

১০ বছরে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ, স্থবির অর্থনীতি

১৯

২ জুন ১৯৭১: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন

২০