ad

এনসিপি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হচ্ছেন গাজী সালাউদ্দিন তানভীর

প্রিয়ভূমি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
গাজী সালাউদ্দিন তানভীর
গাজী সালাউদ্দিন তানভীর

নেতাকর্মীদের একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ছিল শুরুতেই। ছিল দুর্নীতির অভিযোগও। ফলে ইমেজ হারাতে বসে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। প্রথমে এসব আমলে না নিলেও পরে নড়েচড়ে বসে দলটির হাইকমান্ড। তৃতীয় সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গঠন করা হয় শৃঙ্খলা কমিটি। নির্দেশ দেওয়া হয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার।

দলটিতে অভিযোগের পাল্লা ভারী যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোয় কমিশন বাণিজ্য, জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে এনসিপি। একই সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এনসিপির একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দল বিব্রত এবং নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে অনেকটা প্রমাণিত হয়েছে। দলের বড় একটি অংশের মত, তাকে দলে না রাখার পক্ষে। সূত্রটি বলছে, সবকিছু বিবেচনা করে তানভীরকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সম্ভাবনাই বেশি।

এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতা বলেন, তানভীরের দায়ভার এনসিপি নেবে না। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাকে দলে না রাখার। দলের সাধারণ সভায়ও তাকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠেছে। যারা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে প্রশ্রয় দিয়েছে, তারাও এখন আর তার দায়ভার নিতে রাজি না।

তানভীরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য এবং দলের যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। তিনি বলেন, তানভীরকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

দু-এক দিনের মধ্যেই অভিযোগের জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন তানভীর। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগই অমূলক। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। এত বেশি ন্যারেটিভ ছড়িয়েছে যে, আমার দল বিব্রত, এটা স্বাভাবিক। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে মামলাও করেছি।

জানা গেছে, তানভীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব খাটিয়ে কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে বাণিজ্য করেছেন। কোটি কোটি টাকা নিয়ে ডিসি নিয়োগের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক ওঠে। বাধ্য হয়ে সরকার ঘটনা তদন্তে তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে।

এরপর মার্চে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বাণিজ্যে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে বই ছাপানোর কাগজ কিনলেই কেবল বই ছাপার ছাড়পত্র দেন তিনি। না কিনলে ছাড়পত্র মেলেনি। আর ওই কাগজ কিনতে টনপ্রতি ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এর বাইরেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

১২ সদস্যের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, আমরা অভিযোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে যেন আমাদের জানায়। এরই মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই এসব দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ন্যানো-বালাইনাশক: ফসল ও পরিবেশ সুরক্ষায় নব-বিপ্লব

পটুয়াখালী গণহত্যা দিবস আজ

কাশ্মিরে দুপক্ষের মধ্যে আবারও গোলাগুলি

সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো

পেহেলগামে হামলা : আসামে একদিনে গ্রেপ্তার ৯

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা: ইতিহাস ও ধর্মের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ

ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই চলমান সংকট সমাধান করবে: ট্রাম্প

ওমানে আজ তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে পাকিস্তানের সব দল

রাবির ‘এ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছেন বোরহান ও সাদিয়া

১০

ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি এখন জাপানের চেয়েও বড়

১১

প্রতিবাদের মুখে চলচ্চিত্রে অনুদানের নতুন নিয়ম স্থগিত

১২

পুরুষের জন্য এল নতুন জন্মনিরোধক, একবার ব্যবহারে নিশ্চিন্ত দুই বছর

১৩

পাকিস্তানি অভিনেতার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না ভারতে

১৪

১৯৮৫ সালের মামলায় ইয়ামি গৌতম

১৫

জীবনানন্দ দাশ বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১৬

কাশ্মির হামলায় সরব হলেন সোনাক্ষী সিনহা

১৭

বাংলা ব্যাকরণের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

১৮

কেমন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দের সম্পর্ক

১৯

২৬ এপ্রিল ১৯৭১: পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অবরোধের আহ্বান

২০