এসো দিনলিপি লিখি, কীভাবে কেটেছে তোমার-আমার বিরহবেলা।
সমুদ্র কিংবা বারান্দা-বাগানের সাথে কথোপকথন—
সে তো নিত্যই ছিল সীমানা জুড়ে;
চলো তার চেয়ে বরং লিখি, আমাদের একলা পুড়ানো নিকোটিনের কথা।
সে তো কতবারই চলে গেছো তুমি আমায় ছেড়ে,
আমিও তো কম যাইনি দূর-দূরান্তে,
তবু ফিরে আসার আশ্চর্য টানে কীভাবে মিলেছে রেললাইন সমান্তরাল?
চলো লিখি সেই নীহারিকা জংশনের গল্প।
এমন তো নয় বড্ড নতুন তুমি, আনকোরা হাভানা সিগারের কৌটো—
যেন ধরছি খুব সন্তর্পণে, শুঁকে দেখছি তার গন্ধ;
তবু সমুদ্র-মন্থনে উঠে আসা অবারিত গরলের মতো লাগে তোমায়,
পুরনো হুইস্কির মতোই বারংবার পান করে নেশাদ্রোহী হই।
যে নারীর চোখে চোখ রেখে মাতাল হয় কোনো পাগল কবি,
সেও তো নির্লজ্জের মতো চুমু খেতে চায় কোনো বেরসিক যুবককে;
অথচ বারান্দায় ঝুলানো শেমিজ আর অন্তর্বাসের মতো
তাকে কেন আড়ালে নাড়তে চায় সবাই সববেলা?
একদিন আমিও লিখবো তোমার লোমশ বুক ও বাহুর কথা,
লিখে দেবো কীভাবে অমৃত ভাগাভাগি করে নিয়েছি আমরা গোপন পথে;
সরল অঙ্কের মতো গুণ-ভাগ করে ফলাফল যদি নাই মেলে,
তবু উত্তরের ঘরে লিখে দেবো—এ জীবন দশমিক ভালোবাসি।
প্রথম প্রকাশ: জাগরণীয়া, ২০ নভেম্বর ২০১৭
মন্তব্য করুন