১৯৭১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে খুলনার ডুমুরিয়া থানার চেঁচুড়ি গ্রামে সংঘটিত হয় একের পর এক নির্মম হত্যাকাণ্ড। স্থানীয় রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের হাতে এই গ্রামের বহু নিরীহ বাসিন্দা প্রাণ হারান। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত এই ঘটনাগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের এক করুণ দলিল।
চেঁচুড়ি গ্রামটি ডুমুরিয়া থানার ১ নম্বর ধামালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই এলাকার রাজাকাররা ধারাবাহিকভাবে গণহত্যা চালায়। নেহালপুর রাজাকার ক্যাম্প ছিল এই অঞ্চলের নৃশংসতার কেন্দ্রবিন্দু।
শিকার: চেঁচুড়ি গ্রামের তরুণ মোকছেদ গোলদার
ঘটনাবিবরণী:
রাজাকাররা তাকে প্রথমে নির্মমভাবে প্রহার করে
জুলাই-আগস্ট মাসের একদিন বেলা একটার দিকে তাকে গুলি করে ফেলে রাখা হয়
অব্যাহত রক্তক্ষরণে বেলা তিনটার দিকে তিনি মারা যান
পরিবারের অবস্থা:
ঘরে রেখে গিয়েছিলেন সদ্যবিবাহিতা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
ঘটনাস্থল: কপালিয়া বাজার
ঘটনাবিবরণী:
নেহালপুর রাজাকার ক্যাম্পের আহ্বানে পাকিস্তানি সেনারা আসে
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি সেনাদের গোলাগুলি শুরু হয়
পালানোর চেষ্টাকালে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হন:
সাধু (চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা)
মতিন (চেঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা)
চেঁচুড়ি গণহত্যা মুক্তিযুদ্ধকালীন স্থানীয় সহযোগী বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের যৌথ নৃশংসতার একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। এই ঘটনাগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ: ১. নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা ২. অন্তঃসত্ত্বা নারীকে স্বামীহারা করা ৩. স্থানীয় জনগণের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা
১. ইদ্রিস গোলদার (চেঁচুড়ি, ডুমুরিয়া) - ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ ২. কুদ্দুস গোলদার (চেঁচুড়ি, ডুমুরিয়া) - ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ ৩. দিব্যদ্যুতি সরকার, একাত্তরে খুলনা: মানবিক বিপর্যয়ের ইতিহাস
মন্তব্য করুন