১৯৭১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খলশি গ্রামে সংঘটিত হয় একের পর এক গণহত্যা। স্থানীয় রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের যৌথ আক্রমণে এই গ্রামে প্রায় ৩০ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ড স্থানীয় প্রতিরোধ আন্দোলন দমনের এক নৃশংস চেষ্টা ছিল।
খলশি গ্রামটি ডুমুরিয়া সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এই গ্রামটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এখানেই বসবাস করতেন ডুমুরিয়ার প্রখ্যাত কৃষক নেতা শেখ আবদুল মজিদ। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী একটি প্রতিরোধ বাহিনী, যা স্থানীয় রাজাকারদের জন্য স্থায়ী হুমকি ছিল।
১. রাজাকারদের আক্রমণ: উত্তর ডুমুরিয়া ও গুটুদিয়া ইউনিয়নের কোমলপুরের রাজাকাররা একাধিকবার খলশি গ্রামে হামলা চালায়। ২. পাকিস্তানি সেনাদের অংশগ্রহণ: পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও সরাসরি এই গ্রামে আক্রমণ করে গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ করে।
মজিদ বাহিনীর সক্রিয় সমর্থক
সাধারণ অরাজনৈতিক গ্রামবাসী (ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার)
এই ধারাবাহিক গণহত্যা চলেছিল জুলাই থেকে নভেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত।
খলশি গণহত্যা মুক্তিযুদ্ধকালীন স্থানীয় সহযোগী বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের যৌথ নৃশংসতার একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ: ১. স্থানীয় নেতৃত্বকে ধ্বংস করার চেষ্টা ২. সাধারণ মানুষের ওপর প্রতিশোধমূলক আক্রমণ ৩. দীর্ঘমেয়াদী আতঙ্ক সৃষ্টির কৌশল
দিব্যদ্যুতি সরকার, একাত্তরে খুলনা: মানবিক বিপর্যয়ের ইতিহাস
মন্তব্য করুন