ঢাকা রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মুক্ত মনমুক্ত চিন্তামুক্তি গাথা

বাংলার বুকে শোষণের দাগ

মুহম্মদ আল মুখতাফি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
বাংলার বুকে শোষণের দাগ
বিধ্বস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে ভাটপাড়া নীলকুঠি ছবি: দি ইন্ডিগো জায়ান্ট

নীলকুঠি বাংলায় ঔপনিবেশিক শোষণের ক্ষতের নিদর্শন। উনিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত নীল চাষকে ঘিরে যে নিপীড়নের আখ্যান গড়ে উঠেছে, তার কেন্দ্র ছিল এসব নীলকুঠি। সর্বাধিক নীল উৎপাদনকারী অঞ্চলের একটি ছিল কুষ্টিয়া। ফলে কুষ্টিয়ায় নীলকুঠির সংখ্যাও ছিল বেশি। বিদ্যমান নীলকুঠিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত আমঝুপি কুঠি। এছাড়া নীলকুঠি স্থাপিত হয়েছিল কুমারখালী, ঘোলদাড়ি, শালঘর মধুয়া, সিন্দুরিয়া, কার্পাসডাঙ্গা, কানাইনগর, ফুলবাড়ী, বিত্তিপাড়া, বেদবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর, রতনপুর, গোসাইনগর, ভাটপাড়া, নতিডাঙ্গা, আমলা, শিমুলিয়া, জয়রামপুর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগরেও। মেহেরপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত আমঝুপি নীলকুঠি। কিংবদন্তি আছে পলাশীর আগে ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে রবার্ট ক্লাইভের শেষ বৈঠক বসেছিল এ নীলকুঠিতে। যদিও তা কিংবদন্তিই। ১৮১৮-২০ খ্রিস্টাব্দের দিকে আমঝুপি, ভাটপাড়া, কাথুলি, বামন্দীসহ বেশকিছু স্থানে নীলকুঠি স্থাপন হয়।

আমঝুপি নীলকুঠির গেট পার হলেই এখনো দেখা যায় বিশাল বারান্দা ও দালানঘর। দালানঘরের মধ্যে রয়েছে ১৩টি ছোট-বড় কক্ষ। আছে পুরনো রেকর্ড রুম, নায়েবদের ঘর, কাছারি ও কয়েদখানা। আমঝুপির মতোই পরিচিতি ডানলপ সাহেবের কুঠি, এটি অবস্থিত মাদারীপুরের সদরের আউলিয়াপুরে। তৎকালীন নীলকর ডানলপ নীলকুঠির তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সম্ভবত ১৮০০ সালের আগে আউলিয়াপুর গ্রামে এটি গড়ে তোলা হয়। প্রায় ১২ একর জমির ওপর নীলকুঠি স্থাপন করেছিলেন ডানলপ। জানা যায়, অঞ্চলটিতে সাতটি নীলকুঠি ছিল। এখন যেটা আছে, এটাই সবচেয়ে বড় ছিল। ১২ কক্ষবিশিষ্ট এ কুঠির মাঝামাঝি অংশে এখনো রয়েছে একটি চুল্লি, যেখানে নীল তৈরি করা হতো, এর পাশেই প্রায় ৪০ ফুট উঁচু একটি চিমনি।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সীমান্তের কোলঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে ভাটপাড়া নীলকুঠি। ১৮৭৬ সালের দিকে তৎকালীন নদীয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমায় নীল চাষ শুরু হয়। জমিদার মথুরা নাথ মুখার্জীর পুত্র চন্দ্র মহন বৃহৎ অংকের নজরানা নিয়ে মেহেরপুরকে নীলকর জেমস হিলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তার ছেলে মহেশ মুখোপাধ্যায় নিযুক্ত হয়েছিলেন জেমস হিলের দিওয়ানে। তিনিই নীলদর্পণ নাটকে গুপে দেওয়ান নামে পরিচিতি অর্জন করেছেন। ভাটপাড়া নীলকুঠিটি কাজলা নদীর তীরে ২৩ একর জমির ওপর অবস্থিত। সাহেবদের প্রমোদ ঘর ও শয়নকক্ষ সংবলিত দ্বিতল ভবনের কাছারি ঘর, জেলখানা, মৃত্যুকূপ ও ঘোড়ার ঘর বিলুপ্তপ্রায়। নীলকুঠির মূল ভবন ছাড়াও বিধ্বস্ত ভবনের চারপাশে আগাছার মতো ছড়িয়ে আছে নীলগাছ।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত খালিশপুর নীলকুঠি ভবন। জানা যায়, ১৮১১ সালে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর দুতিয়ার কাঠি কুঠির মালিক ব্রিজবেন কপোতাক্ষ নদীর তীরে কুঠিটি স্থাপন করেন। সে সময় খালিশপুর থেকে সাগরদাঁড়ি হয়ে কলকাতা পর্যন্ত লঞ্চ, স্টিমার চলাচল করত। এ অঞ্চলের এনায়েতপুর, নগরবাথান, মধুপুর, ঝিনাইদহ, হাজরাতলা, কলোমনখালী, কালীগঞ্জ, শৈলকুপার বিজুলিয়া, হরিণাকুণ্ড, জোড়াদাহ, ধুলিয়া, কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে নীল চাষ শুরু করে। এলাকার সাঁওতাল সম্প্রদায়সহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক ছিল নীল চাষের শ্রমিক। নীল বিদ্রোহের পর অন্যান্য নীলকুঠি ইংরেজরা জমিদারদের মধ্যে বিক্রি করে দিয়ে যায়; কিন্তু মহেশপুরের খালিশপুর নীলকুঠিটি কোনো ইংরেজ বিক্রি করে দিয়ে যেতে পারেনি, বরং ফেলে পালিয়ে যায়। বর্তমানে নীলকুঠিসংলগ্ন জমিটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে। দক্ষিণমুখী কুঠির ভবনের দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট ও উচ্চতা ৩০ ফুট। এটি ১২টি কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন। দেয়াল ২০ ইঞ্চি পুরু। চুন, সুরকি ও পাকা ইটের তৈরি। গোসল করার জন্য পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষ নদীর তীর পর্যন্ত নামানো। নীলকুঠিতে রয়েছে একটি আমবাগান।

ব্রিটিশ শোষণের চিহ্ন মেখে নীলকুঠি দাঁড়িয়ে আছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জে। রানীগঞ্জ বাজার ও রানীগঞ্জ হাইস্কুলের উত্তর পাশের শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে কুঠিটির অবস্থান। এখনো নীল তৈরি করার একটি চুলার কিছু অংশ রয়েছে। নদীর পূর্ব পাশের এলাকাজুড়ে তখনকার সময় নীল চাষ হতো। নীলকুঠিটি ছিল এ এলাকার কেন্দ্রস্থল। নীলকুঠিটি লোহা, কাঠ ও পোড়ামাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তখনকার সময়ের একটি পালঙ্ক ও চৌকি রয়েছে, যা এখনো ব্যবহার করা যায়। কিছু অংশ ছাড়া বাকি সব অংশই অক্ষত। চাঁদপুরে নীল চাষের আস্তানা ছিল মূলত সাহেবগঞ্জের নীলকুঠি। অবশ্য এ নীলকুঠি ইংরেজরা নির্মাণ করেনি। দাবি করা হয়, প্রায় ২০০ একরজুড়ে দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন পর্তুগিজ সেনাপতি এন্টোনিও ডি সিলভা মেঞ্জিস। তখনকার সময়ে এর অবস্থান ছিল সমুদ্রের কাছাকাছি। তারা এটাকে বলত বাণিজ্যকুঠি। দুর্গ নির্মাণের প্রায় ৩০০ বছর পর ইংরেজরা দুর্গটিকে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। বর্তমানে সবাই দুর্গটিকে নীলকুঠি হিসেবেই জানে। একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বা মিনার রয়েছে। মিনারটিই একমাত্র অক্ষত স্থাপনা। ৪৫ ফুট উঁচু এ মিনারে ভেতরের অংশে একসময় শিলালিপি ছিল বলে জানা যায়। আছে ইংরেজ নীলকর চার্লি সাহেবের দীঘি।

কোম্পানি আমলে খুলনার দৌলতপুর শহরের কেন্দ্রস্থল রেলওয়ে হাসপাতাল রোডে নীলকুঠি স্থাপন করা হয়। কুঠিটি স্থাপন করেন নীলকর চার্লস। ৪৩ শতাংশ জমির ওপর দোতলা বাড়িটি অবস্থিত। দোতলা বাড়িটির ওপরতলায় তিনটি ও নিচতলায় রয়েছে চারটি কামরা। নিচ ও দোতলা কামরার সামনে আছে বড় খোলা বারান্দা। বাড়ির দোতলায় ওঠার জন্য পূর্ব-দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে রয়েছে দুটি সিমেন্টের ঢালাই দেয়া তৈরি সিঁড়ি। এ বাড়ির অনতিদূরেই ভৈরব নদ। অন্যান্য নীলকুঠির মতো চার্লসের পাকা দালান বাড়িটি ছিল নীলকরদের কেন্দ্র। ১৮৮৪ সালে কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ হয়। তখন থেকে চার্লির বাড়িটি ইন্ডিয়ান জেনারেল নেভিগেশন অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানির (আইজিএনআরএসএন কোং) কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। সে সময় ওই কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে ভবনে বসে দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়ার্ডসন, নওয়াব হামিদ ইসমাইল, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, খাজা গোলাম সরওয়ার ও এসআর দোহার মতো ব্যক্তিরা। বাড়িটিকে ২০০১ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে খুলনা সিটি করপোরেশন।

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীলফামারী জেলা সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের নটখানা গ্রামের নীলকুঠি। দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর নামই এসেছে নীল চাষের সূত্র ধরে। এ অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় সে সময় এখানে বেশি নীল চাষ হতো। ১৮০০ সালে নটখানা গ্রামে নীল চাষের খামারটি স্থাপন করা হয়। পরে আশপাশে আরো কুঠি স্থাপন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে নটখানা কুঠি এখনো দাঁড়িয়ে আছে। কোম্পানি আমলে ভবনের ভেতরে কৃষকদের নির্যাতন করা হতো। উৎপাদিত পণ্য জেলা শহরের শাখা ও মাচা নামের দুটি বন্দর দিয়ে নদীপথে আনা-নেয়ার কাজ করত। এদিকে নীলফামারী ডিসি গার্ডেনের সামনের নীলকুঠি ১৯৯৯ সাল থেকে নীলফামারী অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ৬৩ ও ৫১ ফুট এ টিনশেড ভবনে দুটি ফায়ার পেন্টস, দুটি বেডরুম, একটি ড্রয়িং রুম, দুটি বাথরুম ও পেছন দিকে একটি বারান্দা রয়েছে নীলকুঠিতে।

মাহমুদাবাদ নীলকুঠি অবস্থিত নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উত্তর দিকে ৩০০ গজের মধ্যেই। তিনজন ইংরেজ জিপি ওয়াইজ, ডব্লিউ ওয়াটস ও জর্জ লেমন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে জাহাজ ভিড়িয়ে কুঠি স্থাপন করেন এখানে। সে সময় বেলাব উপজেলার নীলক্ষা, রায়পুরার বটতলী, মির্জানগর, হাইরমারা, চরসুবুদ্ধি, আগারনগর, মাহমুদাবাদ ও দৌলতকান্দি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় তখন নীল চাষ হতো। মাহমুদাবাদ নীলকুঠির চিমনির উচ্চতা প্রায় ৭৫ ফুট ও প্রস্থ ১০ ফুট। দেয়ালের পুরুত্ব দুই ফুট। চিমনিটির ইটের তৈরি দেয়ালে অনেক গর্ত।

নীলচাষীদের ওপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নির্যাতনের নির্মম স্মৃতি কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশেরা গ্রামের নীলকুঠি। যদিও ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে গেছে বাগাতিপাড়া সদর, পারকুঠি, নূরপুর, কুঠি বাঁশবাড়িয়া, চিথলিয়া এলাকার নীলকর স্থাপনা। বাগাতিপাড়ার নীলকুঠির সম্মুখভাগের বারান্দা বর্তমানে জঙ্গলে ঢাকা। সেসব পেরিয়ে সামনে গেলেই উঁকি দিচ্ছে ছয়টি দরজা। ২০০ বছরের পুরনো কুঠির দেয়াল ভেদ করে ভেতরে জন্মেছে লতা-গুল্ম। পাশের একটি ভাঙা দরজা পেরিয়ে ভেতরে গিয়ে বোঝা যায় দৈর্ঘ-প্রস্থে কতটা বড় কুঠির এক একটি কক্ষ। বেশ কয়েকটি কক্ষে রয়েছে ফায়ারপ্লেস। ব্রিটিশ আমলে বাগাতিপাড়ার নওশেরা, পারকুঠি, নূরপুর, কুঠি বাঁশবাড়িয়া, চিথলিয়া এলকায় কুঠিবাড়ী স্থাপন করে নীল চাষের উপযোগী করে। কৃষকদের বাধ্য করা হতো নীল চাষে।

ইংরেজ বেনিয়াদের প্রতিষ্ঠা করা আরেকটি নীলকুঠি অবস্থিত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর জালালপুরে। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে এটা অন্যতম বৃহৎ নীল চুল্লি ছিল। এখনো রয়েছে চুল্লির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। কালের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে এ নীলকুঠি। পরাধীনতার রজ্জু যে কত নিষ্ঠুর এ নীলকুঠিরই তার দৃষ্টান্ত। ময়মনসিংহ সদরে ঐতিহাসিক গ্রাম নীলকুঠি আরো একটি উদাহরণ নীল চাষের ইতিহাসের। অবশ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে এখানে খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে প্রবীণদের মুখে এখনো ঘুরে বেড়ায় নীল চাষের কথা। গ্রামে এখনো মাটি খুঁড়লে ব্রিটিশ আমলের সাক্ষী ইট ও নানা জিনিসের চিহ্ন পাওয়া যায়। একসময় এখানে নীল শুকানো হতো, পাশে ছিল ড্রেন। সে ড্রেন দিয়ে নীলের পানি যেত। এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে নীল চাষের দুটি পুকুর। পুকুরের আশপাশে রয়েছে ইটের চিহ্ন। স্থানীয়দের দাবি, খনন করা গেলে পুরনো অনেক সম্পদ মিলতে পারে।

নীল চাষ নিয়ে নিপীড়নের আখ্যান ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশে। কেবল রাজশাহী কিংবা যশোরে থেমে থাকেনি তাদের আধিপত্য। নীলফামারী থেকে কিশোরগঞ্জ, খুলনা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল নীল চাষের জোর-জুলুম। তার স্বাক্ষর হিসেবেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে নীলকুঠি। যেন কোম্পানি আমলে বাংলার মানুষের ওপর নির্বিচার লাঞ্ছনার দগদগে ক্ষত।

অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১ জুন ১৯৭১: নগরকান্দা গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি

মানুষ কার কাছে আশ্রয় চাইবে

আজহারুল ইসলামের রায়: বিচারের মানদণ্ড নাকি ন্যায়বিচারের প্রশ্ন?

অভয়নগরের ভয়, আমাদের পিছু ছাড়ছে না

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি ইজারাদারি: আয় প্রবৃদ্ধির বাস্তবতা বনাম হুমকি

৩১ মে ১৯৭১: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকাল

দ্বন্দ্বমুখর রাজনীতির সংকট ও ‘থ্রি এম’ সমাধান

২৯ মে, ১৯৭১: বরগুনার গণহত্যা, আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক তৎপরতা

‘ইন্টেরিম সরকার, গণহত্যার পাহারাদার’

২৮ মে ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দিন

১০

বাগবাটি গণহত্যা: সিরাজগঞ্জের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস

১১

২৭ মে ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় দিন

১২

গণ-অভ্যুত্থানগুলোর পরিণতি হতাশাজনক

১৩

জনগণ আসলে কী চায়

১৪

শহীদ বুদ্ধিজীবী / সুধীর চন্দ্র মজুমদার

১৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী / মহসিন আলী

১৬

শহীদ বুদ্ধিজীবী / আবুল বাশার মহিউদ্দিন আহম্মদ

১৭

শহীদ বুদ্ধিজীবী / ফাদার লুকাশ মারান্ডি

১৮

বুরুঙ্গা গণহত্যা: ৯৪ জন নিরীহ বাঙালিকে হত্যা

১৯

২৬ মে ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি ঘটনাবহুল দিন

২০