রাজশাহীতে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের নাম আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত রোববার নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন এক তরুণ আবদুল আলীম। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে এবং দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশার ছেলে রুয়েট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান দীপনকে।
মামলায় মোট ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির নাম আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাজশাহীতে তাঁকে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে বাদী আবদুল আলীমের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, "মামলা সংগঠনের তদারকিতে হয়েছে। আমাদের মুরব্বিরাই সব কিছু করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।"
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, "আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তি আছেন কি না, তা যাচাই করতে হবে। যদি তিনি মৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অভিযোগপত্র দাখিলের সময় তাঁকে বাদ দেওয়া হবে।"
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের মিডিয়া ও প্রেস সেক্রেটারি ইমন আশরাফ বলেন, "এই মামলা জামায়াতের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে হয়নি। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মৃত্যুর বিষয়টিও আমরা জানি।"
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা নিয়ে মামলার গ্রহণযোগ্যতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন