তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। বিরোধী নেতা একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর শুরু হওয়া এই আন্দোলন দমাতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিলেও বিক্ষোভ থামেনি।
মঙ্গলবার পুলিশ এএফপি’র চিত্র সাংবাদিক ইয়াসিন আকগুলসহ অন্তত সাতজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে, যা আরও সমালোচনা তৈরি করেছে।
সাংবাদিক গ্রেপ্তার নিয়ে বিতর্ক বিক্ষোভের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন এএফপি'র সাংবাদিক ইয়াসিন আকগুল। প্রশাসনের দাবি, তিনি "বেআইনি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন", তবে আকগুল জানিয়েছেন, তিনি শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এএফপি’র সিইও ফেবরিস ফ্রাইস তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "এই গ্রেপ্তার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রেসিডেন্টের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।"
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক ইস্তাম্বুলের সিসলি অঞ্চলে হাজারো বিক্ষোভকারী মিছিল করে সরকারবিরোধী শ্লোগান দেন। তাঁদের দাবি, সরকার পদত্যাগ করুক।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দাবি করেছেন, ইমামোগলুর গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়নি এবং আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তবে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বলছে, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জনপ্রিয় বিরোধী নেতাকে আটক রেখেছে।
আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল জানিয়েছেন, শনিবার ইস্তাম্বুলে গণবিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "ইমামোগলুর মুক্তি, স্বচ্ছ বিচার ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আমরা সবাই রাস্তায় নামবো।"
ইস্তাম্বুলের নতুন মেয়র হিসেবে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে সিএইচপি। তারা ইমামোগলুর বিকল্প হিসেবে নিজস্ব একজন মেয়র নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
এরদোয়ানের কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তুরস্কের রাস্তায় বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
মন্তব্য করুন