গরমের দিনে ঠাণ্ডা, রসালো একটি মিষ্টি তরমুজের কদরই আলাদা। কিন্তু বাজারে তরমুজ কিনতে গিয়ে অনেক সময়ই মিষ্টি না হওয়ার হতাশা দেখা দেয়। তাই মিষ্টি ও রসালো তরমুজ চেনার কিছু সহজ কৌশল জানা থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে পেতে পারেন গরমের দিনে এক গ্লাস প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা পানীয়।
১. তরমুজের নিচের দাগ (Field Spot) দেখে বুঝুন তরমুজের নিচে থাকে একটি হলুদাভ বা হালকা ক্রিম রঙের দাগ, যাকে ফিল্ড স্পট বলা হয়। এটি সেই অংশ, যেটি তরমুজ গাছে থাকা অবস্থায় মাটির সাথে লেগে থাকে। গাঢ় হলুদ বা কমলা ফিল্ড স্পট মানেই তরমুজটা বেশি সময় গাছে পেকেছে — অর্থাৎ বেশি মিষ্টি।
২. খোসায় দাগ ও জালের মতো রেখা (Webbing) তরমুজে যদি মধুরঙা বা বাদামি জালের মতো রেখা থাকে, তবে সেটি ভালো। কারণ এই দাগ তরমুজে পোকামাকড় বসে মধুর রস টানার চেষ্টা করেছিল, যা প্রমাণ করে তরমুজটি মিষ্টি।
৩. হাত দিয়ে ঠোকাঠুকি করে শব্দ শোনা (Knocking Test) হালকা চাপ দিয়ে তরমুজে টোকা দিন। গম্ভীর, প্রতিধ্বনিমূলক আওয়াজ মানে তরমুজটি পরিপক্ব ও রসালো। ফাঁপা বা থেঁতো ধ্বনি হলে তরমুজটা হয়তো পানশূন্য বা বেশি পেকে গেছে।
৪. আকৃতি ও ওজন একই আকারের অন্যান্য তরমুজের তুলনায় যদি একটি তরমুজ ভারী মনে হয়, তবে সেটিতে পানির পরিমাণ বেশি — মানে রসালো। গোলাকার বা সামান্য ওভাল আকৃতির তরমুজ সাধারণত বেশি মিষ্টি হয়।
৫. খোসার রঙ ও টেক্সচার তরমুজের খোসা যদি ঘন সবুজ হয় এবং উপরে ময়লা বা মসৃণতার পরিবর্তে একটু খসখসে ভাব থাকে, তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বেশি মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
টিপস বরফ ঠান্ডা তরমুজ খেতে চাইলে ফ্রিজে ১–২ ঘণ্টা রেখে খেতে পারেন, তবে বেশি সময় রাখলে স্বাদে হেরফের হতে পারে।
তরমুজ কাটার পরপরই খাওয়াই ভালো। দীর্ঘ সময় কেটে রাখলে পুষ্টিগুণ ও স্বাদ কমে যায়।
মন্তব্য করুন